Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
গাফিলতিতে অভিযুক্ত বন দফতর

বাঘরোলকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী

পান বরজে লুকিয়ে থাকা বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তমলুকের কাশীপুর এলাকায়। আর বিরল প্রজাতির এই প্রাণী হত্যার ঘটনায় প্রাণীর স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জেলা বন দফতরের বিরুদ্ধে গফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

পান বরজে লুকিয়ে থাকা বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তমলুকের কাশীপুর এলাকায়। আর বিরল প্রজাতির এই প্রাণী হত্যার ঘটনায় প্রাণীর স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জেলা বন দফতরের বিরুদ্ধে গফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস খানেক আগে এলাকায় বাঘরোল জাতীয় কোন প্রাণী আক্রমণ করছিল এলাকার অনেককে। তা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি বন দফতরকে জানানোর পর মিলেছিল একটি লোবহার খাঁচা। প্রাণীটিকে উদ্ধার করার জন্য আর বন দফতর আর উদ্যোগী হয়নি। ফলে মঙ্গলবার রাতে বাঘরোল ধরার পর আতঙ্কিত এলাকাবাসী তাকে পিটিয়ে মেরেই ফেলে।

ঘটনার কথা স্বীকার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন দফতরের আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘ গ্রামবাসীদের হাতে বাঘরোলকে পিটিয়ে মারার ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। ওই বাঘরোলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপর তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’

কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজয় সামন্ত বলেন, ‘‘ওই বাঘরোলের কামড়ে এলাকার অনেকে এখনও অসুস্থ। বন দফতরের কাছে সাহায্যও চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু ওরা এখটা খাঁচা দিয়েই দায়িত্ব সেরে ফেলল। ওমন প্রাণীকে কে কি আমরা আয়ত্ত্বে আনতে পারি?’’ এমনকী ওই খাঁচা তাঁরা ফেরতও দিয়ে এসেছেন বন দফতরে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মঙ্গলবার রাতে পান বরজে লুকিয়ে থাকা বাঘরোলটি ধরে গ্রামবাসীরাই তাকে পিটিয়ে মেরে ফলে। কাশীপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রেবতী সাউয়ের কথায়, ‘‘গ্রামবাসী সাহায্যের জন্য বন দফতরকে জানিয়েছিলেন। বন দফতর আগে গুরুত্ব দিলে এমন ঘটনা হত না।’’

এ দিনই খরিশ সাপ ধরা পড়ল সুতাহাটার মাঠে। বুধবার দুপুরে সাপটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। হলদিয়ার বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার পার্থ দেবনাথ জানান, দু’ফুটের এই সাপটিকে বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

civet cat lynched
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE