Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সুবর্ণরেখায় জল বাড়ায় বাড়ির ক্ষতি দাঁতনে

টানা বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে সুবর্ণরেখার জলস্তর বাড়ায় ঘরবাড়ির ক্ষতি হল দাঁতনে। ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সুবর্ণরেখা নদীর জলতলের উচ্চতা বাড়তে থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৮
Share: Save:

টানা বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে সুবর্ণরেখার জলস্তর বাড়ায় ঘরবাড়ির ক্ষতি হল দাঁতনে। ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সুবর্ণরেখা নদীর জলতলের উচ্চতা বাড়তে থাকে। জল বাড়ায় দাঁতন-১ ব্লকের তররুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশিয়া গ্রামে নদীর পাড় ভাঙে। ধসে যায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর পাড়ের মাটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পলাশিয়া গ্রামের নদী তীরবর্তী প্রায় ৬টি বাড়ি। জলমগ্ন এলাকার লোকেদের পলাশিয়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গালুডি ব্যারাজ থেকে জল ছাড়লেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে দাঁতনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সুবর্ণরেখা ঘেঁষা আলিকষা, তররুই, দাঁতন-২, আঙ্গুয়া, চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ক্ষতির মুখে পড়ে। গত বছরও একইভাবে এই এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় গালুডি ব্যারাজ থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তার জেরে সুবর্ণরেখায় জলের স্রোত বাড়তে থাকায় পলাশিয়া গ্রামে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে।

নদী ছাপিয়ে জল ঢোকায় মঙ্গলবার রাতে পলাশিয়ার বাসিন্দা ধীরেন মুখি, সীতারাম মুর্মু, ধীরেন পাত্র, বাদল মুর্মু, সন্যাসী জানা, রঞ্জন মুখীর বাড়ির দেওয়াল ধসে যায়। ক্ষোভ বাড়তে থাকায় এলাকায় যান বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ। গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে রাতেই জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়। ধীরেন মুখী, সীতারাম মুর্মুরা বলেন, “পাড় ভেঙে যাওয়ায় বাড়ি নদীগর্ভে ধসে গেল। পরিবারের লোকদের নিয়ে থাকব কোথায়। প্রশাসনের উচিত, আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।”

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান। তিনি বলেন, “প্রতিবার গালুডি ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় দাঁতনে ক্ষতি হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ওই গরিব অসহায় মানুষগুলির বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমি সেচমন্ত্রীর কাছে ওই নদীর পাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়েছি।”

এ বিষয়ে খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “সুবর্ণরেখা নদীতে জল বাড়ায় কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আগাম সতর্কতা হিসেবে ওই গ্রামের কয়েকটি পরিবারকে সরিয়ে এনেছি। একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে তাঁদের রাখা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন নদীর জলস্তর নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Subarnarekha River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE