—প্রতীকী চিত্র।
ঝাড়গ্রাম জেলা মেডিক্যাল কলেজের চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক রোগী। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃতের নাম কমল মাঝি। ৩০ বছরের ওই যুবকের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বারিকুল থানার লুড়কা গ্রামে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বমি, খিঁচুনির মতো শারীরিক সমস্যা এবং উপসর্গ নিয়ে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন কমল। পুরুষ বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সোমবার বিকেল নাগাদ কিছুটা সুস্থও হয়ে ওঠেন ওই রোগী। রাতেই তাঁকে জানানো হয় মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁকে আর এক বার পরীক্ষা করে দেখে চলে যান। কমলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের দুই সদস্য ছিলেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে ওই দু’জন কোনও কাজে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। পুরুষ বিভাগে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগ রোগী তখন ঘুমোচ্ছিলেন।
ভোর তখন সাড়ে ৫টা। হাসপাতালের চার তলার জানলার কাচের দরজা ভেঙে লাফ দেন কমল। পড়েন হাসপাতালের অন্য একটি ভবনের এক তলার ছাদের উপরে। ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনে হাসপাতালের লোকজন ছুটে গিয়েছিলেন। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় এক রোগীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে যুবককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। কেন আত্মহত্যা করলেন ওই রোগী, কী ঘটেছিল, তার স্পষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি এখনও। মৃত্যুর কারণ জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এক অধিকারিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy