যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেলেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা আমিনা বিবি। —নিজস্ব চিত্র।
স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোলের জন্য ভাগ্নির মাথা থেঁতলে খুন করেছিলেন মামি। প্রায় ১৪ বছর ধরে সেই মামলার বিচার পর্ব চলার পর অভিযুক্ত মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করল তমলুকের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের আদালতের বিচারক হেমন্ত সিংহ আমিনা বিবি নামে ওই মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। অনাদায়ে তিন মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১৪ বছরের মনীষা খাতুনকে বাড়ির মধ্যে মারধর করেন পাঁশকুড়া থানার মানুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনা। বালিকার মাথায় ভারী ধাতব বস্তু দিয়ে বার বার আঘাত করে খুন করেন তিনি। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। ঘটনাটি নজরে আসে প্রতিবেশীদের। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। অভিযোগ দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন) মামলা দায়ের করে আমিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলাটি চলছিল গত ১৪ বছর। অবশেষে ওই মামলার সাজা শোনাল আদালত।
সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি আইনজীবী উত্তরসখা বেরা বলেন, “বাবা-মায়ের অকালমৃত্যুর পর দুই বোন এবং এক ভাইকে নিয়ে মামাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল কিশোরী মনীষা। তাই নিয়ে মামা হানিফের সঙ্গে মামি আমিনা বিবির অশান্তি লেগে ছিল। তার মাঝে এক দিন স্ত্রী আমিনাকে তালাক দিয়ে ভিন্রাজ্যে কাজে চলে যান হানিফ। আর তার পুরো রাগ গিয়ে পড়ে মনীষার উপরে। ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মনীষার ওপর হামলা চালান আমিনা। ভাগ্নিকে খুন করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। তবে পুলিশের তৎপরতায় অভিযুক্ত ধরাও পড়ে যান।’’ আইনজীবী জানান, “দুই সাক্ষীর বয়ান এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে সাজা শুনিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy