Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

স্মার্ট কার্ড নয়, পাতলা কাগজেই লাইসেন্স

সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে চালু হয়েছে নতুন ই-সারথী ব্যবস্থা। এখন ঘরে বসেই যে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স ব্যবস্থার সরলীকরণ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। তাহলে এখনও কেন স্মার্ট কার্ডের বদলে ‘ইউজার্স কপি’ লেখা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, উঠছে সেই প্রশ্ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৪
Share: Save:

স্মার্ট কার্ড নয়, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এখনও এক টুকরো কাগজই ভরসা!

সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে চালু হয়েছে নতুন ই-সারথী ব্যবস্থা। এখন ঘরে বসেই যে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স ব্যবস্থার সরলীকরণ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। তাহলে এখনও কেন স্মার্ট কার্ডের বদলে ‘ইউজার্স কপি’ লেখা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, উঠছে সেই প্রশ্ন।

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর রাজ্য থেকে দ্রুত স্মার্ট কার্ড চালুর নির্দেশ এসেছিল। সেই মতো ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের গোড়ায় খড়্গপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের অফিসে পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সেই কাজ করেছিল। একইভাবে মেদিনীপুরেও পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা চালু হয়নি।

আগে জেলায় লাল রঙের একটি ছোট বাঁধানো বইয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হত। তবে স্মার্ট কার্ডের নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় আগের সেই লাল রঙের বই। তার বদলে এই পাতলা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্টের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ইউজার্স কপি দেওয়া হচ্ছে। সদ্য গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়েছেন খড়্গপুর পুরসভার কর্মী অমিত গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “এই লাইসেন্স নিয়ে চলাফেরা মুশকিল হয়ে গিয়েছে। প্রথমত ঝাপসা প্রিন্টের এই কাগজ থেকে কিছু বোঝা যায় না। রোদে-জলে লাইসেন্স নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।”

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য দেওয়া হচ্ছে এমনই কাগজ। নিজস্ব চিত্র

অভিযোগ, অন্য জেলায় গিয়ে এমন লাইসেন্স দেখালে ট্রাফিক পুলিশের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। লাইসেন্সের পাতলা কাগজ সহজে নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই কাগজ বাঁচাতে ল্যামিনেশন করে নিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছে না। রোদে-জলে ল্যামিনেশন উঠে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে লাইসেন্সের।

এ বিষয়ে খড়্গপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সৌরেন দাস বলেন, “রাজ্য থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই আমরা একটি অফিস ঘর ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেখানে স্মার্ট কার্ডের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করেছিল রাজ্যের একটি সংস্থা। নানা কারণে তা চালু করা যায়নি। স্মার্টকার্ড চালুর জন্য পরবর্তী কোনও নির্দেশিকাও আসেনি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Driving Licence Smart Card User's Copy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE