তিনি মঞ্চে হাসালেন সবাইকে। বৃহস্পতিবার কেশপুরে যুব তৃণমূলের সভায় সাংসদ দেব। ছবি: রামপ্রাসদ সাউ।
কেশপুর রয়েছে কেশপুরেই।
আগেও সভা-সমাবেশ ঘিরে যে উন্মাদনা ছিল, দলের পতাকা নিয়ে লম্বা মিছিল করে সভাস্থল ভরিয়ে দেওয়া ছিল, বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরেও ফের এক বার সেই ছবিই ধরা পড়ল।
অথচ এখন রমজান মাস চলছে। তার উপর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেশপুরে দুপুর থেকে ছিল একটানা বৃষ্টি। তার মধ্যেও কেউ ছাতা মাথায় নিয়ে কেউ বা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকেই সভা শুনেছেন। ভেজার জন্য আফশোস নেই। বরং হাজার দশেকের ভিড়ের বাড়তি পাওয়া তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গেই একটি বার কাছ থেকে অভিনেতা দেবকে দেখতে পাওয়া। দেব আবার কেশপুরের ঘরের ছেলে। তাই তাঁকে দেখতে উতলা জনতা ক্রমাগত চিত্কার করেছে, ‘ছাতা নামান, দেখতে পাচ্ছি না যে।’
বৃষ্টির মধ্যেই হাজার দশেক লোকের জমায়েত হয়েছিল সভা। আর তা দেখে উত্ফুল্ল বাংলা ছবির রংবাজ। মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ঘুরে পুরনো ঢঙেই বলেছেন, ‘‘অজস্র ধন্যবাদ আপনাদের। কাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের প্রতি, আমাদের প্রিয় নেত্রীর প্রতি আপনাদের ভালোবাসার জন্যই বৃষ্টির মধ্যেও এটা সম্ভব হয়েছে। দেব আরও বলেন, “আমি কিছু নিতে আসিনি। আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই।”
২১ জুলাইয়ের সমর্থনে বৃহস্পতিবার কেশপুর হাইস্কুল মাঠে যুব তৃণমূল আয়োজিত সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল তিনটেয়। সভা শুরুর আগেই তুমুল বৃষ্টি নামে। প্রথমে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তীরা সময় কিছুটা পিছিয়ে চারটেয় শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোক জমতে শুরু করে। জেলার কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষ বলে ওঠেন, “বৃষ্টি শুভ। আমরা আগে যত সভা করেছি, প্রায় প্রতিটিতেই বৃষ্টি হয়েছে। ভিজেছি, কিন্তু সভা ছাড়িনি। এবারও বৃষ্টি। সবার কাছে আবেদন, কেউ সভা ছেড়ে যাবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy