প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হারে ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা। ছেলেদের পাশের হার যেখানে প্রায় ৪৯ শতাংশ, সেখানে মেয়েদের পাশের হার প্রায় ৫১ শতাংশ। অর্থাৎ, ২ শতাংশ বেশি।
জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প মেয়েদের পড়াশোনা করতে সাহায্য করছে। এখন মেয়েদের মধ্যেও স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে। আগে অনেকে গ্রামের কাছাকাছি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পড়তে পারত না। এখন সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে যেখানে গড় পাশের হার ৮৪.২০ শতাংশ, সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ৮৯.৬১ শতাংশ। এই ফল উৎসাহ বাড়াবে বলে দাবি ওই প্রশাসনিক কর্তার। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৪৪,৬৬১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২১,৮৭২। ছাত্রী ২২,৭৮৯। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০,০২০ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১৯,৫১১। ছাত্রী ২০,৫০৯। জেলায় ছাত্রদের পাশের হার ৪৮.৭৫ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৫১.২৫ শতাংশ।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “আশা করা যায়, আগামী দিনে জেলার ফল আরও ভাল হবে। এখন মেয়েরাও যে পড়াশোনায় পিছিয়ে নেই, এই ফল তারই প্রমাণ। এই সময়ের মধ্যে অনেক স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে উন্নীত হয়েছে। এর সুফল আগামী দিনেও মিলবে।” তাঁর স্বীকারোক্তি, “পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে জঙ্গলমহল রয়েছে। জঙ্গলমহলের সর্বত্র শিক্ষার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না। এই সময়ে পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পড়াশোনার মানেরও
উন্নতি হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy