Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আঁকার স্বীকৃতি বিদেশের মাটিতে

পড়ার পাশাপাশি রং-তুলি নিয়ে আঁকায় ওদের আগ্রহ। এ বার সেই আগ্রহ আর ভালবাসার স্বীকৃতি মিলল বিদেশেও। মিলল আন্তর্জাতিক স্তরের ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় সাফল্য। জাপানের টোকিও শহরে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন আর্ট এগজিবিশনে পূর্ব মেদিনীপুরের সাত স্কুল পড়ুয়া জয় করে নিয়ে এল পদক।

পুরস্কার হাতে আকাশ। এই ছবিতেই মিলেছে পদক (ইনসেটে)। —নিজস্ব চিত্র।

পুরস্কার হাতে আকাশ। এই ছবিতেই মিলেছে পদক (ইনসেটে)। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৬ ০১:৫০
Share: Save:

পড়ার পাশাপাশি রং-তুলি নিয়ে আঁকায় ওদের আগ্রহ। এ বার সেই আগ্রহ আর ভালবাসার স্বীকৃতি মিলল বিদেশেও। মিলল আন্তর্জাতিক স্তরের ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় সাফল্য। জাপানের টোকিও শহরে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন আর্ট এগজিবিশনে পূর্ব মেদিনীপুরের সাত স্কুল পড়ুয়া জয় করে নিয়ে এল পদক।

কোলাঘাটের কুমারহাট গ্রামের স্কুল পড়ুয়া আকাশ মান্না স্বর্ণ পদক পেয়েছ। তমলুকের আলিনান গ্রামের বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির শুভদীপ দিন্দা, কাঁকটিয়া গ্রামের নবম শ্রেণির পিউ পড়িয়া ও পাইকপাড়ি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির সোমা মাইতি পেয়েছে রৌপ্য পদক। পদুমবসানের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির দীপাঞ্জন দত্ত, পাঁচবেড়িয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির সাথী দুয়ারী ও কোলাঘাটের কুমারহাট গ্রামের প্রথম শ্রেণির প্রিয়ঙ্কা হুতাইত পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। চলতি বছরের মার্চ মাসে টোকিও শহরের এই ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার এটা ছিল ৪৬ তম বর্ষ। সেখানে যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন দেশের বহু স্কুল পড়ুয়ারা। সেখানেই নির্বাচিত হয়েছে পূর্বের এই পড়ুয়াদের ছবি। কয়েকদিন আগে ডাকযোগে পদক ও শংসাপত্র পৌঁছে গিয়েছে।

কোলাঘাটের দেউলিয়া এলাকার কুমারহাট গ্রামের আকাশ কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ উচ্চ-বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার জলরঙে আঁকা গ্রামীণ মেলার দৃশ্যের ছবিই ছিনিয়ে এনেছে সোনার পদক। আকাশের বাবা দিলীপ মান্না পেশায় বিমা এজেন্ট ও মা কুহুমিতা মান্না গৃহবধূ। দু’বছর ধরে ছবি আঁকা শিখছে পুলশিটা নবারুণ সেবা নিকেতনের আর্ট স্কুলে। আকাশের কথায়, ‘‘আরও আঁকা শিখতে চাই।’’ আকাশের অঙ্কন শিক্ষক অমেলন্দু দাস বলেন, ‘‘জলরং-তেলরং-দু’টোতেই ভাল আঁকে আকাশ। ওর এই সাফল্য অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE