Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সন্তোষকে ভরসা রাখতে বললেন পূর্বসূরি গুরুদাস

কী হবে? হাওয়া কোন দিকে? প্রশ্নটা উঠেছিল আলোচনার মধ্যে থেকেই। জেলা সিপিএম অফিসের একটা ঘরে তখন বসে গুরুদাস দাশগুপ্ত, মঞ্জুকুমার মজুমদার, সন্তোষ রাণা, প্রবোধ পণ্ডারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৯
Share: Save:

কী হবে? হাওয়া কোন দিকে?

প্রশ্নটা উঠেছিল আলোচনার মধ্যে থেকেই। জেলা সিপিএম অফিসের একটা ঘরে তখন বসে গুরুদাস দাশগুপ্ত, মঞ্জুকুমার মজুমদার, সন্তোষ রাণা, প্রবোধ পণ্ডারা। মিছিল শুরু হতে তখনও কিছুটা দেরি রয়েছে। সবে শহরের বাম নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হতে শুরু করেছেন মীরবাজারের অফিসের সামনে।

পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার বামেদের কঠিন লড়াই। তিন কেন্দ্রের মধ্যে দু’টিতেই বামেদের লড়াই তারকাদের সঙ্গে। মেদিনীপুরে প্রবোধবাবুকে লড়তে হচ্ছে তৃণমূলের অভিনেত্রী প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের সঙ্গে। ঘাটালে সন্তোষবাবুর বিপক্ষে আছেন বাংলা কাঁপানো নায়ক দেব, পোশাকি নাম দীপক অধিকারী। সিপিআইয়ের দুই প্রার্থীর চাপ যে এ বার বেশি, তা বিলক্ষণ জানেন ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ গুরুদাসবাবু। সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর সিকি শতকের অভিজ্ঞতা। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী তিনি। সিপিএম অফিসের ওই ঘরোয়া আলোচনা চলাকালীনই সন্তোষবাবুর হাতে হাত রাখলেন গুরুদাসবাবু। অভয় দিয়ে বললেন, “তারকা প্রার্থী নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মানুষের উপর ভরসা রেখো। মানুষ সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন।”

বৃহস্পতিবার বামেদের মনোনয়ন-পর্বে সর্বক্ষণই দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষবাবুকে আগলে রেখেছিলেন সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন আইটাকের সর্বভারতীয় নেতা গুরুদাসবাবু। মনোনয়ন জমা দিতে কালেক্টরেট চত্বরে ঢোকার সময়ও গুরুদাসবাবুর হাত ধরে ঢোকেন সন্তোষবাবু। পরে ঘাটালের বাম প্রার্থী বলছিলেন, “গুরুদাসদা বর্ষীয়ান নেতা। উনি আমাদের সকলেরই সাফল্য কামনা করেছেন।” ফ্রন্ট নেতৃত্ব আগেই ঠিক করেছিলেন, তিন বামপ্রার্থী একই দিনে মনোনয়ন জমা দেবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবারের দিনটা ঠিক করা হয়। কারণ, এ দিন থেকেই ঘাটালের মনোনয়ন-পর্ব শুরু হল। আগে মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের মনোনয়ন শুরু হয়েছিল। এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন গুরুদাসবাবু। সঙ্গে ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার। শহরে ঢুকে তাঁরা সোজা চলে আসেন রবীন্দ্রনগরে, দলের জেলা অফিসে। ততক্ষণে জেলা অফিসে চলে এসেছেন প্রবোধবাবু, সন্তোষবাবুরা। সাড়ে দশটা নাগাদ গুরুদাসবাবুদের সঙ্গে নিয়ে সিপিআইয়ের দুই প্রার্থী আসেন মীরবাজারে, সিপিএমের জেলা অফিসে। বেলা এগারোটা নাগাদ এখান থেকে মিছিল শুরু হয়। ততক্ষণে জেলা অফিসে এসেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার।

এ দিনের সাজানো মিছিলে প্রথম সারিতে ছিলেন ছ’জন। তিন প্রার্থী এবং গুরুদাসবাবু, মঞ্জুকুমারবাবু, দীপকবাবু। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘চিত্রতারকা নয়, চাই বিকল্প নীতির সরকার। বন্ধু, সংসদটা রঙ্গমঞ্চ নয়, আপনারা একটু ভাববেন!’

কী হবে এ বার ভোটে? সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপকবাবুর জবাব, “তৃণমূল তো বলছে, ওরা সব আসনই পেয়ে যাবে! এটুকু বলতে পারি, মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন, তাহলে এ বারও আমাদের জেলার ঐতিহ্য বজায় থাকবে।” তারকা-প্রার্থীরা ফ্যাক্টর হবেন না? দীপকবাবু বলেন, “তারকাদের নিয়ে এই আবেগটা তাত্‌ক্ষণিক। আমাদের জেলার মানুষ রাজনীতি-সচেতন।

অন্য বিষয়গুলি:

santosh rana gurudas dasgupta election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE