মনিরুল ইসলাম। ছবি: পিটিআই।
তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক মনিরুল ইসলাম দিল্লি গিয়ে বুধবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। এ বারের নির্বাচনে বীরভূম জেলার লাভপুরের এই বিধায়ককে বিশেষ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। এ নিয়ে গুঞ্জনও ছিল। তবে সংখ্যালঘু এই বিধায়কের বিজেপিতে যাওয়া বিষয়টিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। বাম শিবির থেকে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মনিরুল। পরে এক সভায় দাবি করেছিলেন, সিপিএমের তিন সমর্থককে তিনি ‘পায়ের তল দিয়ে মেরে’ ফেলেছেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। এ দিন অবশ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বিজেপিতে থাকা নেতারা হিংসায় বিশ্বাস করেন না।’’
তৃণমূল মনে করছে, মনিরুল বিজেপিতে যাওয়ায় লাভ হল বেশি। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘মনিরুল কোনও কাজের নন। এলাকায় তাঁর আর জনপ্রিয়তাও নেই। দুর্নীতির অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর মতো লোক চলে গেলে দল আরও ভাল হবে।’’ মনিরুলের সঙ্গেই এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরা, জেলার যুব সংগঠনের সংখ্যালঘু মুখ মহম্মদ আসিফ ইকবাল এবং নিমাই দাস। বিজেপির দাবি, এর ফলে বীরভূমের জেলা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়লেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত। তিনি অবশ্য এ দিন মনিরুলদের দলবদল প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। মঙ্গলবার দুই বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং তুষারকান্তি ভট্টাচার্য (কাগজে-কলমে কংগ্রেস) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। ফলে পদ্ম শিবিরে যাওয়া বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। বিজেপির দাবি, অপেক্ষায় আরও আছেন।
২০১০-র ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে সিপিএম সমর্থক তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় মনিরুল-সহ ৫১ জন অভিযুক্ত হন। পরে চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ যায়। বিজেপির লাভপুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি সুবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘মনিরুল তৃণমূলে থাকাকালীন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তাতে আমরা দলে ওঁর অনুপ্রবেশ মেনে নেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy