—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের জন্য বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিভিন্ন পর্যায়ে লাগাতার জেলা সফরের জন্য কপ্টার চেয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের অপর পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের জন্যও নবান্নের কাছে কপ্টার চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্য তা ব্যবস্থা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রতিরক্ষা পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরিচালনার জন্য আসা দুই পর্যবেক্ষককে বায়ুসেনার কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই ঘটনা প্রমাণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় অবাধ নির্বাচন করাতে বদ্ধ পরিকর। সেই কারণে ব্যতিক্রমী হলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পর্যবেক্ষকদের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।’’
যদিও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে’কে শনিবার বাগডোগড়া থেকে সড়কপথে মালদহে পৌঁছতে হয়েছে। আজ, রবিবার তিনি নতুন পুলিশ সুপারসহ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে শেষ পর্যায়ের ভোট প্রস্তুতির হিসাব নেবেন। এ দিন তিনি বলেন,‘‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কপ্টার দিতে রাজি হওয়ায় জেলায় জেলায় যাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। সময় বাঁচবে। এত দিন এ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তা মিটে গিয়েছে।’’
নবান্নের খবর, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের জন্য কমিশন হেলিকপ্টার জোগাড় করতে বলায় বেজায় মুশকিলে পড়েছিল সরকার। কারণ, রাজ্যের হাতে থাকা কপ্টারটি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকে ভোটের ঠিক আগেই ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার থেকেই তৃণমূল ভোটের প্রচারে কপ্টার নিয়েছে বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কমিশন কপ্টার চাওয়ায় বেসরকারি সংস্থার থেকে তা পেতে সমস্যা পড়েছিল সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব
অত্রি ভট্টাচার্য চার বার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলের সদর দফতরে হেলিকপ্টার চেয়ে আবেদন জানায়। বায়ুসেনার রাজ্যকে জানায়, কখনও ভোটে পর্যবেক্ষকদের যাতায়াতে বায়ুসেনার কপ্টার
ব্যবহার করা হয়না। জরুরি পরিস্থিতি বলেই সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের ভোটে কখনও সেনার কপ্টার লাগাতার ব্যবহারের নজির নেই। এর পর
নবান্ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে আর্জি জানিয়ে কপ্টার চায়। শনিবারের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ফলে বিবেক দুবে ও অজয় নায়েকের কপ্টার সফরে আর কোনও জটিলতা থাকছে না বলেই কমিশনের একটি সূত্র দাবি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy