Advertisement
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কপ্টার-জটে ‘পণ্ড’ রাহুলের সমাবেশ

শিলিগুড়ি সংলগ্ন দাগাপুরের একটি বেসরকারি মাঠে আজ, রবিবার রাহুলের সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কংগ্রেস।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫১
Share: Save:

ভোটের আগে দার্জিলিংয়ে রাহুল গাঁধীর সভা ঘিরে তৈরি হল বিভ্রান্তি ও জটিলতা। প্রশাসন হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি, এই কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত সভা বাতিল করেছে কংগ্রেস। কিন্তু দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সভা করার ব্যাপারে কংগ্রেস সভাপতির দফতর থেকে চূড়ান্ত কোনও সম্মতি আসেনি প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে। ওই কেন্দ্রের প্রার্থী শঙ্কর মালাকার কংগ্রেস সভাপতিকে অনুরোধ করেছিলেন সভা করার। সভা বাতিল হওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ষড়ষন্ত্রে’র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন শঙ্করবাবুই।

শিলিগুড়ি সংলগ্ন দাগাপুরের একটি বেসরকারি মাঠে আজ, রবিবার রাহুলের সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু শুক্রবারই প্রশাসন জানিয়ে দেয়, রাহুলের হেলিকপ্টার কমিশনারেটের মাঠে নামতে দেওয়া যাবে না। তার পরেই শনিবার দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভা বাতিলের ঘোষণা করে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা দার্জিলিং‌য়ের প্রার্থী শঙ্করবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রথম থেকেই শাসক দলের ইচ্ছায় কংগ্রেসের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে পুলিশ-প্রশাসন। রাহুল যাতে এখানে প্রচারে আসতে না পারেন, তার জন্যই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা ষড়যন্ত্র।’’ রাহুলের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে শনিবার থেকেই প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস।

ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু হেলিকপ্টার নামার অনুমতি কেন দেওয়া হল না? পুলিশের বক্তব্য, ওই মাঠে এখন প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতায়াত চলছে, গাড়ি পার্কিং রয়েছে। তাই হেলিপ্যাড করা সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে সুকনায় একটি বেসরকারি জমিতে কপ্টার নামানোর জন্য এ দিন আবেদন করে কংগ্রেস। কিন্তু প্রশাসনের তরফে জানা যায়, অনুমতি মিলতে ১৫ বা ১৬ এপ্রিল হয়ে যাবে। দার্জিলিংয়ে ১৬ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রচার শেষ হয়ে যাবে। তাই শেষ মুহূর্তে অনুমতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায়নি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশাসনেরই একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে ১২ কিলোমিটার সড়ক পথে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাওয়াখালির মাঠে সভা করেছিলেন। রাহুলও চাইলে বাগডোগরায় নেমে দাগাপুরে সভায় যেতে পারতেন। যদিও শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী কীসে আসবেন, এটা তো রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা ঠিক করে দিতে পারেন না। দিল্লিতে তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিকরা এটা ঠিক করেন।’’

প্রশাসনের সঙ্গে টানাপড়েন এখন সামনে এলেও কংগ্রেসের অন্দরে অবশ্য রাহুলের এই সভা নিয়ে কোনও বিশেষ প্রস্তুতি ছিল না। বরং, এ রাজ্য থেকে এআইসিসি-র এক সম্পাদক কংগ্রেস সভাপতিকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদ বা উত্তর দিনাজপুরের আসন কংগ্রেসের জন্য সম্ভাবনাময়। দার্জিলিং সেই তালিকায় পড়ে না। প্রদেশ কংগ্রেসও দার্জিলিংয়ের সভা নিয়ে বিশেষ তৎপর হয়নি।

অভিনেত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী নাগমা মোরারজিকে নিয়ে এ দিনই মাটিগাড়া বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করেন শঙ্করবাবুরা। মেডিক্যাল মোড় থেকে আঠারোখাই, বালাসন কলোনি হয়ে পাথারঘাটা পর্যন্ত যায় সেই মিছিল। পরে কার্শিয়াংয়েও যান নাগমা। তবে কংগ্রেসের অভিযোগ, কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে নাগমার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE