জলাশয় ভরেছে কচুরিপানায় । নিজস্ব চিত্র
সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে জলাশয়টি ফের কচুরিপানা এবং আগাছায় ভরে গিয়েছে। পাড়ে জমে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বাড়ছে মশার উপদ্রব।
এমনই অবস্থা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং ইএম বাইপাস সংযোগকারী রাস্তার পাশে ঢাকুরিয়ার এলাকার একটি জলাশয়ের।
জলাশয়টি কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’বছর আগে জলাশয়টি থেকে কচুরিপানা তোলা হলেও ফের আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরসভায় নথিভুক্ত এই জলাশয়টি সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছিল। ২০১৩-এ এলাকার প্রবীণরা জলাশয় রক্ষায় পথে নামেন। নিজেরাই চাঁদা তুলে কিছুটা সংস্কার করেন। পরে পুরসভা বাকি সংস্কারের কাজ করে।
ফের জলাশয়টি কচুরিপানা এবং আগাছায় সেটি ভরে গিয়েছে। বেড়েছে মশার উপদ্রব। জলাশয়টির সংস্কারে জন্য বাসিন্দারা ‘জনস্বাস্থ্য, জলাশয় সংরক্ষণ ও সংস্কার মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনও করেছেন। সংগঠনের সভাপতি অমল ভট্টাচার্য বলেন, “১৪ বিঘা জমির উপরে
বিস্তৃত এই জলাশয় বাঁচাতে পুরসভার সাহায্য চাইছি। পুরসভা আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিক।” স্থানীয় প্রবীণেরা জলাশয় রক্ষায় পুরকর্তাদের কাছে আবেদন জানালেও কোনও উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ।
দশ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বাসিন্দারা আমার কাছে এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানালে আমি অবশ্যই তাঁদের সাহায্য করব।” বাসিন্দাদের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই পুরসভা সৌন্দর্যায়ন করুক। স্থানীয় বাসিন্দা সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “জলাশয়টির চার দিকে আলো নেই। সংস্কার করে জলাশয়ের চার দিক সুন্দর করে সাজানো হোক।”
পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, “জলাশয়টির কথা জানি। সংস্কার শুরু করতে বিভাগীয় কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। এর পরে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা স্থানীয়দের হাতে তুলে দেওয়া যায় কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy