বাবার কর্মসূত্রে আমরা তখন চাসনালায় থাকি। বড়দা কলকাতায়। এক বার রদ্রদাকে (রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত) সঙ্গে নিয়ে চাসনালার বাড়িতে বড়দা এল। আমার থেকে ১৬ বছরের বড় ছিল। এর আগে ভাল করে দেখিওনি ওকে কখনও। খেতে বসে কত্ত রকমের যে গল্প বলতেন! সেই প্রথম ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের নাম শুনলাম। শুনলাম শেক্সপিয়র নামের এক ভদ্রলোকের কথা। বার্নাড শ-কেও সেই সময় প্রথম চিনিয়েছিল বড়দাই। চাসনালা থেকে সে বার বড়দা চলে এলে খুব মন খারাপ হয়েছিল আমাদের।
এর পরের বার বড়দা চাসনালায় গিয়েছিল লিলিদিকে নিয়ে। ওদের বিয়ের আগেই। ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন, বাগাডুলি— খেলার নানা সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছিল ওরা দু’জন। এগুলো কী ভাবে খেলতে হয় শিখলাম। দেদার মজা হয়েছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা যখন কলকাতায় চলে আসি, রুদ্রদা আর রাধুদা (রাধারমণ তপাদার) আমাদের হাওড়া স্টেশনে আনতে গিয়েছিল মনে আছে। আসলে আমাদের বাড়িতে বড়দার পরেই রুদ্রদার জায়গা ছিল।
‘শোলে’তে গব্বরের চরিত্রটা বড়দা করবে বলে কথা হয়েছিল। শত্রুঘ্ন সিনহা ওকে চোপড়াদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন ‘তিন পয়সার পালা’-র নিয়মিত অভিনয় হচ্ছে। শ্যুটিং-এর জন্য টানা সময় দিতে না পারার কারণে গব্বর করা হল না আর বড়দার। তা নিয়ে কোনও আপশোষ ছিল না ওর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy