Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

পুরভোটে জেতান, সজ্জিত শ্মশান থেকে ডাক মমতার

ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঠিক হয়নি। তার আগেই কলকাতা পুরভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিমতলা শ্মশান ঘাট সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। সেখানেই পুরসভার কাজের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরসভা খুব ভাল কাজ করেছে। ভোটে আবার জেতান। আরও ভাল কাজ করবে।” তিনি জানান, এ বার গ্রামের মতো শহরেও ‘নিজ ভূমে নিজ গৃহ’ প্রকল্প শুরু করছে তাঁর সরকার।

নিমতলা শ্মশান সৌন্দর্যায়ন ও সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

নিমতলা শ্মশান সৌন্দর্যায়ন ও সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৪
Share: Save:

ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঠিক হয়নি। তার আগেই কলকাতা পুরভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নিমতলা শ্মশান ঘাট সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। সেখানেই পুরসভার কাজের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরসভা খুব ভাল কাজ করেছে। ভোটে আবার জেতান। আরও ভাল কাজ করবে।” তিনি জানান, এ বার গ্রামের মতো শহরেও ‘নিজ ভূমে নিজ গৃহ’ প্রকল্প শুরু করছে তাঁর সরকার।

এ দিন যে এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলকে ভোটে জেতানোর আহ্বান জানালেন, তা মূলত হিন্দিভাষীদের বলে পরিচিত। পরিকাঠামোর নিরিখে যে এলাকায় উন্নয়ন দক্ষিণের তুলনায় ‘অনেক’ পিছিয়ে বলে মত তৃণমূল সমর্থকদেরই। উপরন্তু সেখানে রয়েছে বিজেপি-র স্রোতও। সব বুঝেই হয়তো পাশে বসে থাকা মেয়রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই এলাকার উন্নয়ন কর্মসূচি নাও। যত ঘাট আছে, সাজিয়ে তোল। আর সময়ে কাজ শেষ করতে হবে।”

এমনিতেই বিজেপি-র বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত শাসক দল। তার উপর সারদা কেলেঙ্কারির জাল ক্রমশ ছড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। এই অবস্থায় দলকে চাঙ্গা করতে কর্মীদের মনোবল বাড়ানো জরুরি বুঝেই মমতা এ দিন পুর-কর্তাদের দরাজ সার্টিফিকেট দেন বলে ধারণা উপস্থিত অনেকেরই। অনুষ্ঠানে মমতার ঘোষণা, মিলেনিয়াম পার্কের দিকে গঙ্গার পাড় যেমন সাজানো হয়েছে, উত্তর কলকাতায় গঙ্গার ধারে ওই অঞ্চলকেও সে ভাবে সাজাতে হবে। এ বিষয়ে মঞ্চে হাজির পুরকর্তাদেরও নির্দেশ দেন তিনি।

প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা শ্মশান ঘাটে আরও ৮টি নতুন বৈদ্যুতিক ও দু’টি কাঠের চুল্লি নিয়ে কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। গঙ্গার ধারে তিন তলা ওই ভবনের উপর তৈরি হয়েছে কাফেটেরিয়া। শবযাত্রীদের জন্য হয়েছে বিশ্রাম কক্ষ। পাশাপাশি, কবিগুরুর শেষকৃত্যের জায়গাটিও সাজানো হয়েছে নতুন ভাবে। আলোয় সেজেছে এলাকা। এ দিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই যান কবিগুরুর স্মৃতিসৌধস্থলে, তার পর আসেন মঞ্চে। নতুন ওই ভবন-সহ কাশীপুরে নতুন ভাবে গড়ে ওঠা রামকৃষ্ণ দেবের স্মৃতিসৌধস্থলের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পেরও সূচনা করেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE