কসরত: জমা জলে মোটরবাইক চালানোর চেষ্টা। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। নিজস্ব চিত্র
বুধবার রাত থেকে চলা প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক পাঁচ নম্বর সেক্টর। বৃষ্টিতে জমা জল সরাতে বৃহস্পতিবার বিকেল গড়িয়ে যায়। তবে এ দিনের মতো বৃষ্টি ফের হলে জল কী ভাবে সরানো যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
তবে শুধু পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্তই নয়, ভারী ব়ৃষ্টিতে চিন্তায় সল্টলেক থেকে
শুরু করে কেষ্টপুর, বাগুইআটি, রাজারহাট, নিউ টাউন এলাকাও। বুধবার রাত থেকে লাগাতার ৬৩টি পাম্প চালু রাখতে হয়েছে শুধু বিধাননগর পুরসভাকেই। তবে এ দিনের মতো জমা জল সরাতে পারলেও একই ধারায় বৃষ্টি হতে থাকলে সমস্যা যে বাড়বে সে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
কেন এ ভাবে জলমগ্ন হল পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা? পুরসভা এবং নবদিগন্তের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, কেষ্টপুর-সহ একাধিক খাল টইটম্বুর, এলাকার জলাশয় এবং ভেড়ি থেকে জল উপচে লোকালয়ে ঢুকেছে। ফলে জল খালে ফেললেও তা ‘ব্যাক ফ্লো’ করছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়। বিশেষত, কলেজ মোড় থেকে টেকনো ইন্ডিয়ার অবস্থা বেহাল। অফিসে যাতায়াত করতে গিয়ে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, পাঁচ নম্বর সেক্টর ‘বেসিন’ এলাকা। কিন্তু সেই কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা প্রয়োজন।
নবদিগন্তের কর্তাদের একাংশের দাবি, পাম্প চালিয়ে দুপুরের মধ্যে অধিকাংশ জায়গা থেকে জল নামানো হয়েছে। তবে কেন জল জমছে তা পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খালগুলি থেকে পলি তোলার প্রয়োজন। যদিও প্রশাসনের একাংশের কথায়, শুধু খালগুলির নাব্যতা বাড়ালেই
সমস্যা কমবে না। কারণ অনেক বেশি প্রয়োজন গঙ্গা থেকে পলি তোলা। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি নালা সংস্কারের অভাব, প্লাস্টিক
জমে যাওয়া-সহ একাধিক বিষয়ও জলমগ্ন হওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন বাসিন্দারা।
বিধাননগর পুরসভার দাবি, যে পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে তাতে জমা জল সরাতে সময় লাগবে। পাম্প চালিয়ে কিছু জায়গা থেকেই দুপুরের মধ্যেই জল সরানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy