বর্ষা তেমন ভাবে শুরু না হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাতায়াতের পথে জমছে জল!
দু’তিন দিন ধরে ভিক্টোরিয়ার কাছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে রাস্তার দু’ধারে জল জমে রয়েছে। যা দেখে চোখ কপালে পুর-প্রশাসনের। রাস্তার আশপাশের কিছুই যে মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায় না, তা জানেন তাঁর সফরসঙ্গী মন্ত্রী, মেয়র-সহ পুরকর্তারাও। তাই পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে জমে থাকা জল ঘুম কেড়ে নিয়েছে পুর প্রশাসনের।
জমা জল যাতে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে না পড়ে তাই সকাল বিকেল পাম্প চালিয়ে তা সরানো হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি হলেই ফের জল জমছে সেখানে। এ নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পুর-কর্তারা। সমস্যার সমাধান করতে সোমবার ওই বরোর নিকাশি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের পুর-ভবনে তলব করা হচ্ছে পুরসভা সূত্রের খবর। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ বলেন, ‘‘ওখানে কেন জল জমছে, তা দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা দেখছেন। দ্রুত তা সমাধান করতে বলা হয়েছে।’’
যাতায়াতের পথে কোথাও একটা বাতি ভাঙা দেখলেও তৎক্ষণাৎ ফোনে মুখ্যমন্ত্রী সে কথা জানান মেয়র বা পুর-কমিশনারকে। নবান্ন থেকে ফেরার পথে কোথাও জঞ্জাল থাকলে তড়িঘড়ি তা সরাতে নেমে পড়েন পুরকর্মীরা। কখনও এসএসকেএমের সামনে খাবারের স্টলে আগুন দেখে গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সতর্ক করেছেন বিক্রেতাদের। প্রকাশ্যে আগুন না জ্বালিয়ে কী ভাবে ব্যবসা করা যায় সে ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ও মেয়রকে।
পুরসভা সূত্রে খবর, নিকাশির জন্য শহরে ৮৬টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। সেগুলিতে প্রায় ৩৫০ পাম্পও আছে। কিন্তু এ বার বর্ষার শুরুতে ৮০টিরও বেশি পাম্প খারাপ অবস্থায় ছিল।
সাদার্ন অ্যাভিনিউ নিকাশি পাম্পিং স্টেশনে চারটি পাম্পের মধ্যে দু’টিই দেড় বছর ধরে অকেজো— জানিয়েছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তনিমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন। তনিমাদেবী জানান, তাঁর দাদা যখন কলকাতার মেয়র ছিলেন তখনই ওই পাম্পিং স্টেশন চালু হয়। পাম্প খারাপ হওয়ার কথা পুর-প্রশাসনকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা চালু হয়নি। অথচ নিকাশি দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, শহরের সবচেয়ে আধুনিক পাম্প রয়েছে ওই পাম্পিং স্টেশনেই।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রতবাবু জানান, তাঁর আমলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই পাম্পিং স্টেশন গড়া হয়েছিল। মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়, জার্মান সংস্থার তৈরি। মূলত, গড়িয়াহাট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, পঞ্চাননতলা, রাসবিহারী, ঢাকুরিয়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জমা জল বের করে দিতে ওই পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছিল।
নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, মেকানিক্যাল সিল খারাপ থাকায় পাম্প চালানো যাচ্ছে না। তা পাওয়াও যাচ্ছে না। তাই দেড় বছর ধরে তা সারানো হয়ে ওঠেনি। বিষয়টি জেনে স্তম্ভিত তারক সিংহও। বললেন, ‘‘মাত্র দুটো সিলের জন্য পাম্প বন্ধ। দ্রুত তা কিনে পাম্প চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy