Advertisement
E-Paper

কেষ্টদাকে মানতে হবে, পাল্টা কাজল হৃদয়ে

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট জামিন পেয়ে জেলায় ফেরার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের ‘দূরত্ব’ নিয়ে চর্চা চলছে দলের অন্দরে।

কেষ্ট ও কাজলের হয়ে এই দুই পোস্ট ঘিরেই চর্চা তৃণমূলে।

কেষ্ট ও কাজলের হয়ে এই দুই পোস্ট ঘিরেই চর্চা তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।

অর্ঘ্য ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫২
Share
Save

নেতারা সমন্বয়ের বার্তা দিলেও সমাজমাধ্যমে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখোমুখি দেখা হয়নি দু'জনের। কিন্তু, মঞ্চ থেকে দু'জনেই সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন। কর্মী-সমর্থকদের এক সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সাম্প্রতিক কোর কমিটির বৈঠকে দু'জনে মুখোমুখি হয়েছেন। তার পরেও সমাজমাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের অনুগামীদের একাংশের মধ্যে তালঠোকাঠুকি চলছে। সাঁইথিয়ার তৃণমূল কর্মীদের সমাজ মাধ্যমে করা পোস্ট দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে। বিরোধীরা এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট জামিন পেয়ে জেলায় ফেরার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের ‘দূরত্ব’ নিয়ে চর্চা চলছে দলের অন্দরে। গত মাসে হওয়া দলের বিজয়া সম্মিলনীর কোনও মঞ্চেই সভাপতি ও সভাধিপতিকে এক সঙ্গে দেখা যায়নি। সে নিয়েও কম চর্চা হয়নি। শনিবার বোলপুরে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে অবশ্য মুখোমুখি হয়েছিলেন কেষ্ট-কাজল। কেষ্টকে কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্তও করা হয়। বৈঠক শেষে দু'জনেই কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে এক সঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন।

কিন্তু, ফের তাল কাটল কর্মীদের একাংশের পোস্টে। অনুব্রত অনুগামী হিসাবে পরিচিত সাঁইথিয়ায় দলের সক্রিয় কর্মী রিও ঘোষাল নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘‘ইতিহাসকে জানতে হবে, কেষ্টদাকে মানতে হবে।’ পাল্টা কাজল অনুগামী হিসাবে পরিচিত, দলের সংখ্যালঘু সেলের সাঁইথিয়া শহর সভাপতি শেখ আজমের হোসেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘ইতিহাসটা জানা আছে। তাই তো শহিদ পরিবারের সন্তান, জননেতা কাজল শেখ আমাদের হৃদয়ে আছে।’

দু'জনেই পোস্টের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। রিও বলেন, ‘‘কেষ্টদা বাম আমল থেকে লড়াই করে দলকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়েছেন। অথচ তাঁর অবদানকে খাটো করা হচ্ছে। অনেকে সেদিনের ইতিহাস জানে না। তাই পোস্টটা করেছি।’’ অন্য দিকে আজমের বক্তব্য, ‘‘কাজল শেখ এবং তাঁর পরিবারের অবদানও কম নয়। ওঁরা (অনুব্রত-পন্থী) তাঁকে খাটো করার জন্য ওই পোস্ট করেছেন বলে আমরাও পাল্টা পোস্ট করেছি।’’

বিজেপির জেলা কোষাধ্যক্ষ উদয়শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘ওই দলে আনুগত্য প্রদর্শন আসলে লুটেপুটে খাওয়ার অভিপ্রায়। সেই জন্য দু'পক্ষই চাইছে, তাদের নেতাদের হাতে দলের রাশ থাকুক।’’ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। কর্মী-সমর্থকদের একজোট হয়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ওই ধরণের পোস্ট কাম্য নয়।’’ তিনি জানান, দলের ক্ষতি হয়, এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দলগত সিদ্ধান্ত অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sainthia TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}