যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
অবিলম্বে ফল প্রকাশের দাবিতে এবং এক শিক্ষক অন্য ব্যাচের ৫০টি
খাতা না দেখেই নম্বর বসিয়ে দিয়েছেন— এই অভিযোগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের ২০২২-’২৪ ব্যাচের পড়ুয়াদের একাংশ সোমবার উপাচার্যের দফতরে অনশন শুরু করেন। শেষে রাতের দিকে কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে শুক্রবারের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিলে অনশন ওঠে। আন্দোলনকারীদের দাবি, যে শিক্ষক খাতা না দেখে নম্বর দিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা
হবে, এমনটাই তাঁদের জানানো হয়েছে।
মাসকয়েক আগে এই পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছিলেন, বিভাগের কয়েক জন শিক্ষক
রাজনৈতিক রং দেখে নম্বর দেন। এর ফলে বেশ কয়েক জন কম নম্বর পেয়েছেন। এর প্রতিবাদে ঘেরাও, অনশনও তাঁরা সেই সময়ে করেন। এর পরে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত হয়, ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষার রিভিউ বাইরের বিশেষজ্ঞকে রেখে করা হবে। আর ইন্টারনাল যে সব পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। বিভাগীয় এক অতিথি শিক্ষককে কারণ দর্শাতেও বলা হয়। তার পরে আন্দোলনে ইতি টানা হয়।
এ দিন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পক্ষে দেবকুমার মল্লিক বলেন, ‘‘প্রায় আড়াই মাস পরেও
সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়নি। এ দিকে কর্তৃপক্ষ আজ জানিয়েছেন, বিভাগীয় এক শিক্ষক অন্য ব্যাচের ৫০টি খাতা না দেখে নম্বর বসিয়ে দিয়েছেন। সে কথা জেনে আমরা ফল নিয়ে খুবই চিন্তিত।’’ আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করতে হবে। অন্য এক শিক্ষককে শো-কজ় করতে হবে। শেষে রাতের দিকে ডিন লিখিত ভাবে জানান, যে পড়ুয়া আরটিআই করেছেন, তিনি ছাড়া শুক্রবারের মধ্যে অন্যদের ফল প্রকাশ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy