ফের কাজের দিনে রাস্তায় বেরিয়ে দুর্ভোগের আশঙ্কা শহরবাসীর।
আজ, বুধবার, এক হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোট বাতিলের প্রতিবাদে মিছিল করবে তৃণমূল। শুধু কলকাতা নয়, সমর্থকেরা আসবেন আশেপাশের জেলাগুলি থেকেও। মূল মিছিল কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত যাবে। তবে শিয়ালদহ, হাওড়া, শ্যামবাজার থেকে মিছিল যাবে কলেজ স্ট্রিট। তৃণমূল সূত্রের খবর, আজকের মিছিল দুপুরে কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হওয়ার পরে হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলায় পৌঁছবে।
প্রাথমিক ভাবে মিছিলের ওই রুট ঠিক থাকলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে তা নিয়ে। তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতার বক্তব্য, ‘‘আপাতত কলেজ স্ট্রিট থেকে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট-গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি বুঝে পথ বদল হতেও পারে।’’ সাধারণত এই পথে মিছিল যেতে দেওয়ার কথা নয়। মিছিল যায় কলেজ স্ট্রিট থেকে ওয়েলিংটন হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে। তা হলে এ ক্ষেত্রে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ রুট ঠিক করা হল কেন? এক পুলিশকর্তার সতর্ক জবাব, ‘‘এ নিয়ে কিছু বলব না।’’
পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিল করার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আজ দুপুরে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসছেন। ঠিক সেই একই সময়ে মহানগরের রাজপথে নামবে তাঁর দলও। এ দিনের মিছিলে মমতা নিজে না থাকতে পারলেও কলকাতা ও সংলগ্ন হাওড়া-হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলরেরা পা মেলাবেন এই মিছিলে।
লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, বুধবারের ওই মিছিলের রাস্তাগুলি দুপুরের পর থেকে সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হবে জওহরলাল নেহরু রোড, লেনিন সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের একাংশের যান চলাচল।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের মিছিলের জন্য প্রায় পাঁচশো পুলিশকর্মীকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। তবু মিছিলের কারণে শহরের একটি বড় অংশে যানজটের ফলে মানুষের দুর্ভোগ পুরোপুরি এড়ানো যাবে না বলেই আশঙ্কা করছে পুলিশ।
বুধবারের আগেই অবশ্য মঙ্গলবারও বিভিন্ন মিছিলের জেরে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল শহরের বাসিন্দাদের। বেলা এগারোটা থেকে পর পর পাঁচটি সংগঠনের মিছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলায় আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, এর জেরে এস এন ব্যানার্জি রোডে, এজেসি বসু রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-সহ বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচলের গতি ছিল প্রায় রুদ্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy