অবিলম্বে পাশ-ফেল প্রথা চালুর দাবি উঠল।
চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় সফল ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা এবং পুরস্কার দিতে রবিবার প্রেসিডেন্সি কলেজের ডিরোজিও হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ। সেখানেই বিভিন্ন জনের বক্তৃতায় পাশ-ফেল ফেরানোর দাবি উঠে আসে। অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বামফ্রন্ট সরকারের বৃত্তি পরীক্ষা ও পাশ-ফেল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ভুল দাবি করে তার সমালোচনা করেন। বর্তমান তৃণমূল সরকার কেন সেই প্রথা চালু করতে পারেনি, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি শিক্ষার অধিকার আইন সংশোধন করে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর নিয়ম চালু করেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে ইতিমধ্যে যে হেতু শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই চলতি শিক্ষাবর্ষের মাঝখানে ওই প্রথা ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের মধ্যেই।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর, অধ্যাপক প্রদীপ দত্ত প্রমুখ। সুরঞ্জনবাবু তাঁর বক্তৃতায় বর্তমান সময়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। একই সঙ্গে এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার সাফল্য কামনা করেন।
২০১৮ সালে চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় সফল পড়ুয়াদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান করা হয় এ
দিনের অনুষ্ঠানে। এই বছর প্রথম হয়েছে কলকাতার এ ডি ব্লক প্রাইমারি স্কুলের সাবর্ণ গুছাইত। সাবর্ণ পেয়েছে সুশীল মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পদক, স্বর্ণ পদক, ১২০০ টাকা বৃত্তি এবং অভিধান। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের বারবাহারপোতা পল্লীপ্রাণ
প্রাইমারি স্কুলের অনুস্মিতা খান পেয়েছে রৌপ্য পদক, ১২০০ টাকা বৃত্তি এবং অভিধান। এ বছর মোট ৮২ জন পড়ুয়াকে ১২০০ টাকার রাজ্য বৃত্তি এবং ৭১৫ জনকে ৬০০ টাকা জেলা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy