Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

সহজে জরিমানা মেটাতে অস্থায়ী শিবির

ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে গাড়িচালকের জরিমানা করে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, অনেকেই জরিমানার টাকা দেন না। ফলে বকেয়ার পরিমাণ ক্রমে বাড়তে থাকে। সেই টাকা আদায়ে এ বার চালক-মালিকদের কাছে হাজির হল পুলিশই!

কলকাতা পুলিশের চালু করা ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ প্রকল্পের হোর্ডিং।—ফাইল চিত্র।

কলকাতা পুলিশের চালু করা ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ প্রকল্পের হোর্ডিং।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:২২
Share: Save:

ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে গাড়িচালকের জরিমানা করে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ, অনেকেই জরিমানার টাকা দেন না। ফলে বকেয়ার পরিমাণ ক্রমে বাড়তে থাকে। সেই টাকা আদায়ে এ বার চালক-মালিকদের কাছে হাজির হল পুলিশই!
বকেয়া জরিমানা আদায়ে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে গত পয়লা ডিসেম্বর চালু হয়েছে ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেট্‌লমেন্ট স্কিম’। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প। এতে বলা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে জরিমানার টাকা দিলে ৬৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। প্রকল্প চালুর পর থেকেই বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা গাড়ির মালিকদের ফোন করে বলে দিচ্ছেন এর সুবিধার কথা। লালবাজার সূত্রের খবর, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে প্রায় ৯ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
সেই জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে এ বার গোটা শহরে অস্থায়ী শিবির চালুর পরামর্শ দিল লালবাজার। ট্রাক বা লরিস্ট্যান্ড, বহুতল আবাসন অথবা জনসমাগম বেশি হয় এমন জায়গায় শিবির করতে বলা হয়েছে। যাতে সেখানেই গাড়ির মালিক বা চালকেরা সহজে বকেয়া মেটাতে পারেন। এত দিন মূলত ট্র্যাফিক গার্ড এবং কিয়স্কে জরিমানার টাকা আদায় করা হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের সুবিধা যাতে নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছয়, সে জন্য মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন লালবাজারের কর্তারা। সেখানে ট্র্যাফিকের যুগ্ম কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি গার্ডের ওসি এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। বৈঠকে বলা হয়, জরিমানা আদায়ে ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে জোড়াবাগান, হাওড়া ব্রিজ এবং শিয়ালদহ। জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ড সোমবার পর্যন্ত আদায় করেছে প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা। শিয়ালদহ এবং হাওড়া যথাক্রমে ৪১ লক্ষ এবং ৪০ লক্ষ টাকা।
কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জোড়াবাগান ও হাওড়া ব্রিজ গার্ডের আধিকারিকেরা তাঁদের এলাকার ট্রাক-লরি স্ট্যান্ডে শিবির চালু করে ওই বিপুল বকেয়া আদায় করেছেন। সেই পদ্ধতিই সারা শহরে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, শহরের বড় বহুতলগুলিতে অনেক গাড়ির মালিক থাকেন। তাঁরা যাতে সহজে এই প্রকল্পের সুবিধা পান, তাই আবাসনেও এমন শিবির করতে হবে। এমনকি পাড়ার ক্লাবগুলিতেও অস্থায়ী শিবির করার জন্য বলা
হয়েছে বলে ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Fine Trouble Administration Police Traffic Rule
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE