শহরের রাস্তায় কুকুরের উৎপাত কমাতে পুরসভা নির্বীজকরণে উদ্যোগী হলেও পরিকাঠামোর অভাবে তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, পরিকাঠামো বাড়াতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, ধাপায় একটি ডগ পাউন্ড রয়েছে। এন্টালিতে আরও একটি ডগ পাউন্ডের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হলেও তা এখনও শেষ হয়নি। এই প্রকল্পে কুকুর ধরার গাড়ি ও কর্মীর পাশাপাশি উন্নত মানের ল্যাপরোস্কোপি মেশিনেরও প্রয়োজন।
আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পুরসভা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ‘অ্যানিম্যাল বার্থ কন্ট্রোল’ (এবিসি) প্রকল্পে রাস্তার কুকুরদের নির্বীজকরণ করত। কেন্দ্রের অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড, পুরসভা ও রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রতিনিধিরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাজের পর্যালোচনা করে অর্থ বরাদ্দ করত।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষের দাবি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ সন্তোষজনক ছিল না। তাই ২০১২ সাল থেকে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড নিজেরাই কুকুর ধরা এবং নির্বীজকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের নির্দেশে ২০০৯ সালে ‘সোসাইটি ফর স্ট্রে ক্যানাইন বার্থ কন্ট্রোল’ নামে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। এই কমিটি রাস্তার কুকুর ধরা ও নির্বীজকরণের কাজ পর্যালোচনা করে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ও অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডও এই কাজে নজরদারি চালায়। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে যে সমীক্ষা হয়, তাতে দেখা যায়, ২০০৫-২০১০ সাল পর্যন্ত শহরে নির্বীজকরণের সংখ্যা ছিল ৪০০০। ২০১২-২০১৪ সালের মাঝামাঝি সেই সংখ্যা ছিল ৬০০০-এরও বেশি। বছরে গড়ে এই সংখ্যা ৩০০০-এর বেশি বলে পুরসভার দাবি।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সমীক্ষায় দেখা যায় কলকাতায় কুকুরের সংখ্যা ছিল ৫২০০০। আট বছরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩,০০০। বর্তমানে পুরসভা সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০টি কুকুরের নির্বীজকরণ করে বলে জানা গিয়েছে। এক পুর আধিকারিক জানান, এ ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। তা দূর করতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy