Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
RG Kar Medical College and Hospital Incident

সেই ভয়ঙ্কর ভোর, আরজি করের করিডরে প্রবেশ করছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তের পিছনে রয়েছে হাসপাতালের ফ্লোর ম্যাপ। অর্থাৎ হাসপাতালের ওই তলায় কোথায় কী রয়েছে, তার মানচিত্র। ধৃতের গলায় রয়েছে হেডফোন।

আরজি কর হাসপাতালের করিডোরে প্রবেশ করছেন ধৃত।

আরজি কর হাসপাতালের করিডোরে প্রবেশ করছেন ধৃত। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ২১:৫২
Share: Save:

গায়ে টিশার্ট এবং জিন্‌স। হাতে ঝুলছে হেলমেট। গলায় হেডফোন। নির্লিপ্ত মুখে আরজি কর হাসপাতালের করিডরে প্রবেশ করছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। বিশেষ সূত্রের মারফত প্রকাশ্যে এসেছে সেই ফুটেজ (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ফুটেজে উল্লেখ করা তারিখ এবং সময় বলছে, সেই ফুটেজ ৯ অগস্ট ভোর ৪টে ৩ মিনিটের। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের দেহ। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। মনে করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতির ‘প্রমাণ’ দিচ্ছে এই ফুটেজ।

ধৃত যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের করিডরেই প্রবেশ করছেন, তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে ফুটেজে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তের পিছনে রয়েছে হাসপাতালের ফ্লোর ম্যাপ। অর্থাৎ হাসপাতালের ওই তলায় কোথায় কী রয়েছে, তার মানচিত্র। ধৃতের গলায় রয়েছে হেডফোন। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার দেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে খবর। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফুটেজে ধৃতের গলায় যে হেডফোন ঝুলছে, তারই ছেঁড়া অংশ মিলেছিল ঘটনাস্থলে।

সিবিআই সূত্র জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ অগস্ট রাতে একাধিক বার ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকেছিলেন এবং বেরিয়েছিলেন। তার মধ্যে রাত ৮টা নাগাদ বেরিয়ে তিনি গিয়েছিলেন চেতলার এক যৌনপল্লিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। এক মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেছিলেন তিনি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে তাঁকে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই নিয়ে শুক্রবার অনুমতি মিলেছে। সিবিআই মনে করছে, ঘটনার পর হাসপাতাল এবং সেমিনার রুমে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন বয়ানের মাধ্যমে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ধৃত। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই তাঁর পলিগ্রাফ করাতে চাইছে সিবিআই। হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন ধৃত। সেমিনার হলের প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চারতলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতেই পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE