Advertisement
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Extortion case

অভিষেকের নামে তোলা: বিজেপি বিধায়কের কাছে তথ্য তলব! নিখিলের দাবি, ‘ধৃতদের নামই জানি না’

অভিষেকের নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার তিন জন গ্রেফতার হয়েছিলেন।

বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।

বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৩
Share: Save:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজিকাণ্ডে কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র কাছে তথ্য তলব করল লালবাজার। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ধৃতেরা যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি নিখিলের নামে বুক করা। সেই কারণেই নিখিলের কাছে তথ্য তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের সূত্রে।

যদিও নিখিলের দাবি, পুলিশের তরফে কোনও চিঠি, মেল বা ফোন তিনি এখনও পাননি। সে রকম কিছু এসে পৌঁছলে তিনি অবশ্যই তদন্তে সহযোগিতা করবেন। কারণ, কী ভাবে তাঁর নামে ঘর বুক করে ধৃতেরা এমএলএ হস্টেলে উঠলেন, তা তিনি নিজেও জানতে চান। অভিযুক্তদের তিনি চেনেন না বলেই দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক।

বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও চিঠি, মেল বা ফোন এলে, আমি তদন্তের স্বার্থে অবশ্যই সহযোগিতা করব। কারণ এটা স্পর্শকাতর ঘটনা। আমার নাম করে আমার চিঠি দিয়ে কারা রুম বুক করল, তা আমারও জানা দরকার। এখানে বাকি বিধায়কদের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। তাই থানা থেকে যদি আমাকে ডেকে পাঠায়, আমি অবশ্য অবশ্যই তদন্তের স্বার্থে যাব। ধৃতদের নামই শুনিনি আমি। চিনিই না। কারও নাম সুপারিশ করিনি আমি। তার পরেও কী ভাবে আমার নামে বুকিং হয়ে গেল। অবশ্য কেউ জড়িত রয়েছে।’’

অভিষেকের নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার তিন জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। ধৃতদের নাম ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কিছু ভুয়ো নথি দেখিয়ে আনন্দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো ফাঁদও পাতা হয়। বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেলে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এর পর এমএলএ হস্টেল থেকেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলে কী ভাবে অভিযুক্তেরা প্রবেশ করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। সেই কারণেই আমরা তিন জনকে ধরতে পেরেছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

extortion case Abhishek Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy