গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিল শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালত। এ বার আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ, অভিযুক্ত, অভিযুক্তের ‘বন্ধু’, হাসপাতালের চার চিকিৎসক পড়ুয়ার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে পারবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, যাঁর বা যাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়, তাঁর সম্মতি ছাড়া ওই পরীক্ষা করা যায় না। পলিগ্রাফ পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য আদালতে প্রমাণ হিসাবেও গ্রাহ্য হয় না। এই পরীক্ষায় তদন্তে সুবিধা হয় মাত্র। সেই প্রক্রিয়ার জন্য বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। শুক্রবার সেই অনুমতি মিলেছে।
শুক্রবার শিয়ালদহের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল অভিযুক্তকে। তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। কড়া নিরাপত্তার মাঝে বিচারকের কক্ষে তাঁর শুনানি হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক বা বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। অভিযুক্তের তরফে জামিনের আবেদন করা হলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি। এই আবহে আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সিবিআই মনে করছে, ঘটনার পর হাসপাতাল এবং সেমিনার রুমে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন বয়ানের মাধ্যমে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ধৃত। মনে করা হচ্ছে, তার জন্যই তাঁর পলিগ্রাফ করাতে চাইছে সিবিআই। হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন ধৃত। সেমিনার হলের প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চার তলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ সব কারণে পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, শুক্রবারও সিজিও দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সন্দীপ। এই নিয়ে অষ্টম বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন সন্দীপ। তাঁর অপসারণের দাবি তোলেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলনের চাপে পড়ে সন্দীপ নিজেই ইস্তফা দেন। তবে সে দিনই তাঁকে অন্য হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয়। সেই নিয়োগ নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। পরে কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে ছুটিতে পাঠায়। এর পর চিকিৎসকদের আন্দোলনের দাবি মেনে বুধবার সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকেও অপসারিত করা হয়। এ বার তাঁরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর অনুমতি পেল সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy