গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দুইয়ে পার্থ। পাঁচে বালু। আর একুশে এই মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ বিচারাধীন বন্দি।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ভিআইপি ওয়ার্ডে মোট ২২টি সেল রয়েছে। ওয়ার্ডে দু’টি ভাগ। প্রথম ভাগে ২২টি সেল। তার নাম তাই ‘পহেলা বাইশ’। পহেলা বাইশের পরে পাঁচিল ও লোহার গেট। তারও পরে ২৩ থেকে ৪৪ নম্বর সেল। তার নাম তেইশ-চুয়াল্লিশ ওয়ার্ড। এত দিন সেই সব সেলে কোনও না কোনও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বন্দিই থাকতেন। এ বার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি। পেশায় তিনি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। শুক্রবার শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম)-এর আদালত ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর পর আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। পহেলা বাইশের ২১ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে তাঁকে।
পহেলা বাইশের ২ নম্বর সেলে এই মুহূর্তে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পর তিনটি কুঠুরি পেরিয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একটা সময়ে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের ঠিকানা ছিল পার্থের চারটে ঘর পেরিয়ে ৭ নম্বর সেল। ২৩-৪৪ ওয়ার্ডে একটা সময়ে থাকতেন শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশরা।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, পহেলা বাইশের ২১ নম্বর কুঠুরিতে এত দিন ছিলেন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক বন্দি। তাঁর নাম হাবিব। তবে শিয়ালদহের এসিজেএম আদালত আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর ২১ নম্বর সেল থেকে সরানো হয় হাবিবকে। তাঁর জায়গায় ওই সেলে থাকবেন আরজি কর-কাণ্ডের ধৃত।
জেল সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের এই পহেলা বাইশে কড়া নজরদারি রয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের। এতটাই কড়া যে, মাছি গলার জো নেই। সেখানে মোতায়েন থাকেন বহু কারারক্ষী। পাশাপাশি, সিসিটিভি নজরদারি রয়েছে ২২টি কুঠুরিতেই। পার্থ, জ্যোতিপ্রিয় ছাড়াও পহেলা বাইশে ঠাঁই হয় সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আফতাব আনসারি, মুসার। এ বার সেখানে ঠাঁই হল আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ধৃতকেও নিজেদের হেফাজতে নেয়। এর পর শুক্রবার আদালত ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy