Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

নার্কো পরীক্ষায় নারাজ ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, শুনে সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করল শিয়ালদহ আদালত

এর আগে আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছিল সিবিআই। তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু নার্কো পরীক্ষায় আর রাজি হলেন না তিনি।

নার্কো পরীক্ষায় রাজি হলেন না ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার।

নার্কো পরীক্ষায় রাজি হলেন না ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৩
Share: Save:

পলিগ্রাফ পরীক্ষায় রাজি হলেও নার্কো পরীক্ষার জন্য রাজি হলেন না আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর নার্কো পরীক্ষা করতে চেয়ে সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে নার্কো পরীক্ষার জন্য সম্মতি দেননি অভিযুক্ত। ফলে সিবিআইয়ের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।

এর আগে সিবিআই অভিযুক্তের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পলিগ্রাফ পরীক্ষায় তিনি রাজি হয়েছেন। নির্দিষ্ট দিনে ওই পরীক্ষা হয়। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ১০টি প্রশ্ন করেছিলেন অভিযুক্তকে। কিন্তু নার্কো পরীক্ষায় আর রাজি হলেন না তিনি। প্রসঙ্গত, নার্কো বা পলিগ্রাফ পরীক্ষার ফলের কোনওটাই আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রাহ্য হয় না।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পলিগ্রাফ পরীক্ষায় যে যে উত্তর দিয়েছিলেন, তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। সেই কারণে এ বার তাঁরা নার্কো পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে পলিগ্রাফ কিংবা নার্কো, উভয় ক্ষেত্রেই অভিযুক্তের সম্মতির প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে তা না মেলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

নার্কো পরীক্ষায় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে অভিযুক্তকে অর্ধ-সচেতন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওষুধের প্রভাবে তাঁর সচেতনতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এই সময় তাঁকে কিছু প্রশ্ন করা হয়। সে প্রশ্নের উত্তরে তদন্তের অগ্রগতিতে সুবিধা হয় বলে দাবি। আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্তের ক্ষেত্রে আপাতত সেই পন্থা অবলম্বন করা যাচ্ছে না।

আরজি করের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।

সম্প্রতি অভিযুক্তের লালারস এবং কামড়ের নমুনা বা ‘টিথ ইমপ্রেশন’-ও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের সাহায্য নিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়েছিল সিবিআই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE