কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তির ‘স্টুডিয়ো ঘিবলি’। এর মাধ্যমে নিমেষে এঁকে ফেলা যাচ্ছে মনপসন্দ রংবেরঙের ছবি। মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা ওপেনএআইয়ের এই টুল বাজারে আসা ইস্তক দুনিয়া জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কী ভাবে সংরক্ষণ করা যাবে সেই ছবি? এ বার তারও মুশকিল আসান করতে একটা আস্ত লাইব্রেরি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রাখার ব্যবস্থা করতে চলেছে চ্যাটজিপিটির জন্মদাতা সংস্থা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরও ক্ষুরধার করতে ক্রমাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওপেনএআই। ফলে সংস্থাটির হাত ধরে দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছে ‘স্টুডিয়ো ঘিবলি’। এআই প্রযুক্তির ছবিগুলিতে এত দিন কোনও রকমের কাটছাঁট (পড়ুন এডিট) করার সুযোগ ছিল না। এ বার থেকে সেটাও করতে পারবেন চ্যাটজিপিটি ৪ও-র ব্যবহারকারীরা।
পাশাপাশি, এআই মাধ্যমে তৈরি ছবি সংরক্ষণের মিলবে সুযোগ। সেই জন্যেই কৃত্রিম মেধা টুলটিতে একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছে ওপেনএআই। ছবিগুলিকে সযত্নে সেখানে রাখতে পারবেন গ্রাহক। নিজের ইচ্ছামতো সময়ে সেগুলি ব্যবহারের সুযোগও থাকবে।
চ্যাটজিপিটির দু’টি সংস্করণ রয়েছে। একটি টাকা দিয়ে ব্যবহার করার এবং অপরটি বিনামূল্যের। ছবি সংরক্ষণের সুযোগ দু’টি সংস্করণেই থাকছে বলে ওপেনএআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ছবির লাইব্রেরি তৈরি করতে ডাল-ই থ্রি-সহ একাধিক এআই মডেল ব্যবহার করেছে এই মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা। কৃত্রিম মেধা চ্যাটবটের ওয়েব সংস্করণ চ্যাটজিপিটি ডট কমে ঢুকে সেটির সুবিধা নিতে পারবেন গ্রাহক। গুগ্ল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এতে প্রবেশ বা সাইন ইন করার সুযোগ পাবেন তাঁরা।
এআই ছবি সংরক্ষণ করে রাখার লাইব্রেরি পেতে হলে ওয়েব ব্রাউজ়ারে গিয়ে লিখতে হবে চ্যাটজিপিটি ডট কম। এর পর ওপেনএআই বা গুগ্ল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সেখানে লগ ইন করবেন গ্রাহক। পরবর্তী পর্যায়ে চ্যাটজিপিটির ইন্টারফেস সাইডবারে গিয়ে লাইব্রেরি বিকল্পটি বেছে নিলেই আগে বানানো কৃত্রিম মেধাভিত্তিক ছবিগুলি দেখতে পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারী। সেখান থেকে ছবি নিয়ে তাতে এডিট বা সম্পাদনার কাজও করতে পারবেন তিনি।
সম্পাদনা বা এডিটিংয়ের সময় মূল ছবিটির আমূল পরিবর্তনের সুযোগ দেবে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম মেধাভিত্তিক নতুন ছবি তৈরি হয়ে গেলে ব্যবহারকারী তা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে শেয়ার করতে পারবেন। বর্তমানে এআই পরিচালিত নতুন সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরির দিকে নজর দিয়েছে ওপেনএআই। সেটি বাজারে এলে ইলন মাস্কের এক্স হ্যান্ডল বা মার্ক জ়ুকেরবার্গের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম যে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।