উদ্ধার: মেরামত করা হয়েছে বেশ কিছু নৌকা। ছবি: সুমন বল্লভ
অকেজো হয়ে পড়া বেশ কিছু নৌকা সারিয়ে পুজোর আগেই আজ, শনিবার ফের চালু করা হচ্ছে পাটুলির ভাসমান বাজার। লকডাউনের কারণে নৌকা মেরামত করতে যে সময় লাগবে, তা আগেই জানানো হয়েছিল। এমনকি, সেই বাবদ অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছিল সমস্যা। ফলে অকেজো হয়ে পড়ে থাকা সব ক’টি নৌকা সারানো সম্ভব হয়নি বলেই কর্তৃপক্ষের দাবি। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিক্রেতাদের কথা ভেবেই আপাতত কয়েকটি নৌকা সারিয়ে বাজার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে বাকি নৌকাগুলিও মেরামত করে ফেলা হবে।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “নৌকাগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বাজার বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সব ক’টি না হলেও আপাতত অর্ধেক নৌকা সারিয়ে বাজার খোলা হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বার্থেই পুজোর আগে এই বাজার পুনরায় চালু করা হচ্ছে।’’
কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মোট ১০২টি নৌকার মধ্যে ৫৬টি নৌকা সারিয়ে ভাসমান বাজার ফের চালু করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ৪০টি নৌকার মেরামতির কাজ প্রায় শেষ। বাকি ১৬টির কাজও কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
কয়েকটি নৌকার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, সেগুলি বাতিল করে নতুন নৌকা কিনতে হয়েছে। নৌকা মেরামতি ছাড়াও ওই জলাশয়ের জল পরিশোধন এবং সংলগ্ন রাস্তার সংস্কার করতে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে আধিকারিকেরা জানান। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি নৌকা মেরামত করতে আরও দু’কোটি টাকা খরচ হবে বলে খবর। ১২টি অতিরিক্ত নৌকাও রাখা হবে সেখানে।
বছর আড়াই আগে তৈরি পাটুলির ওই ভাসমান বাজারের বেশির ভাগ নৌকাই জলে ডুবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে বাজারও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিক্রেতারা রাস্তার ধারে বসেই তাঁদের পণ্য বিক্রি করতেন।
নৌকাগুলি কেন খারাপ হল, তার কারণ জানতে সরকারি তরফে যে তদন্ত হয়েছিল, তার রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জলের মধ্যে সারাক্ষণ ডুবে থাকার ফলেই কাঠে পচন ধরে গিয়েছিল বহু নৌকার। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়নি। সেই কারণে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জলের নীচে কাঠামো নির্মাণ করে তার উপরে নৌকাগুলি রাখা হবে, যাতে তলার কাঠ নষ্ট না হয়ে যায়।
গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় আটকে গিয়েছিল নৌকা মেরামতির কাজ। সম্প্রতি আমপানে প্রায় ৪০টি নৌকা পুরোপুরি জলে ডুবে যায়। সেগুলি ক্রেন দিয়ে তুলে রাস্তায় রেখে মেরামত করা হচ্ছিল। অন্য নৌকাগুলির মেরামতির কাজও চলছিল। কর্তৃপক্ষ জানান, লকডাউনের জন্য কারিগর পাওয়া ছাড়াও অর্থ বরাদ্দ নিয়েও সমস্যা ছিল। ফলে গত অগস্ট মাসে অন্তত অর্ধেক কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy