এই সেই দোকান। নিজস্ব চিত্র
গ্রাহকদের অভিযোগ, দোকান আছে, কিন্তু রেশন নেই। খাদ্য ভবন সূত্রের খবর, দোকানের মালিক কে তা বোঝা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সাউথ সিঁথির ফোয়ারা মোড়ের রেশন দোকানটি নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত নেই।
গত সেপ্টেম্বর থেকে ৭৬/সি কালীচরণ ঘোষ রোডের ঠিকানায় অবস্থিত রেশন দোকানটি বন্ধ পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই দোকান চালান সন্তোষ সাহা নামে এক ব্যক্তি। খাদ্য ভবন সূত্রের খবর, ওই রেশন দোকানের ছাদ থেকে জল পড়ে জিনিস নষ্ট হচ্ছিল। তাই গত সেপ্টেম্বর থেকে রেশন সামগ্রী বণ্টন সেখানে স্থগিত রাখেন আধিকারিকেরা।
দোকান সারাই হয়ে গেলেও স্থগিতাদেশ এখনও ওঠেনি। সন্তোষ বলেন, ‘‘স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার জন্য একাধিকবার আর্জি জানিয়েছি। লাভ হয়নি।’’ খাদ্য ভবন জানাচ্ছে, রেশন দফতরে মালিক হিসাবে সন্তোষ সাহার কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই তাঁকে রেশন দোকানের মালিকের স্বীকৃতি দিতে নারাজ সরকারি দফতর।
রেশন দফতরের এক আধিকারিক জানান, নথি অনুযায়ী ওই রেশন দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল কনজিউমার গুডস কো-অপারেটিভ লিমিটেডকে। তার এখন কোনও অস্তিত্ব নেই। কো-অপারেটিভের সম্পাদক শয্যাশায়ী। অন্য সদস্যদেরও খোঁজ মিলছে না। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সম্পাদক যদি অন্য কাউকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তাহলে শীঘ্রই রেশন দোকান চালু সম্ভব। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় বিষয়টি এগোচ্ছে না।’’ সন্তোষ সাহা প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারি নথি অনুযায়ী ওই ব্যক্তি কো-অপারেটিভের সদস্য নন। কেন তাঁকে দোকান চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে?’’
এই মুহূর্তে নতুন কার্ডের ৪৪৬ জন গ্রাহককে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে গ্রাহকদের কত জন অবহিত তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়দের একাংশ। বাড়ি থেকে দোকান দূরে হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন গ্রাহকদের অনেকেই।
রেশন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অসুবিধার কথা জানিয়ে গ্রাহকেরা সই-সহ আবেদন জমা করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা দোকান বন্ধ রাখতে চাই না। কিন্তু কো-অপারেটিভের সদস্যেরা এগিয়ে না আসলে আমাদেরও হাত-পা বাঁধা।’’ যদিও দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ওই আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy