এমনই দশা রাস্তার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা। রাতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু জল ভেঙে দিনের পর দিন যাতায়াত করতে হয়। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা সারাইয়ের জন্য একাধিক বার পুরসভাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এই অবস্থা রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের গরাগাছা অঞ্চলের।
প্রাক্তন কাউন্সিলর তড়িৎ চক্রবর্তী জানান, তিনি কাউন্সিলর থাকার সময়ে তিন বার ওই রাস্তাটি সারানো হয়েছে। এক সময়ে ওই জায়গায় ধান জমি ছিল। তাই জায়গাটি এমনিতেই নিচু। তার উপরে মেট্রো তৈরির পরে জল বেরনোর জায়গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা কাউন্সিলরের বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মেট্রো তৈরির আগে এই এলাকায় পাকা রাস্তা ছিল না। পরে রাস্তা তৈরি হয়। মেট্রো তৈরির পরে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, মেট্রো আসার পরে এলাকার জনবসতি দ্রুত বাড়ছে। প্রত্যেকেই পুরকর দিচ্ছেন। কিন্তু এলাকার উন্নয়ন হয়নি। গরাগাছা এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার এই বেহাল দশার জন্য পুরসভার দায়সারা ভাবকেই দায়ী করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, রাস্তার হাল এতই খারাপ যে গাড়ি ঢুকতে চায় না।
বর্ষায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে থাকে। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে চায় না। বাসিন্দা ভাস্বতী পাল বলেন, “বাড়ির উল্টো দিকে এক বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হলেও আসেনি। মেলেনি ট্যাক্সিও। শেষে পাড়ার কিছু লোক অসুস্থ বৃদ্ধাকে পাঁজাকোলা করে বড় রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ট্যাক্সি ধরেন। এতে সময় নষ্ট হওয়ায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এমনকী সে দিন শববাহী গাড়িও ঢুকতে পারেনি। মরদেহ বড় রাস্তায় নিয়ে যেতে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এই রাস্তায় ঠিকমতো আলোর ব্যবস্থা নেই। ফলে রাতে চলাফেরায় খুবই অসুবিধা হয়।
রাজপুর-সোনারপুর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দায়িত্বে আছেন বারুইপুরের এসডিও পার্থ আচার্য। তিনি বলেন, “আমরা বোর্ডের অসমাপ্ত কাজগুলি করছি। তা ছাড়া পুজোর আগে খারাপ রাস্তাগুলি সারাই হয়। সেই কাজও চলছে। এই রাস্তাটি তার মধ্যে আছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy