রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে বিছানাপত্র। শনিবার। — নিজস্ব চিত্র।
রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে পাওয়া কঙ্কাল দেবযানী দে-র কি না, তা জানতে বিছানাপত্রও পাঠানো হবে রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। দেবযানীর ভাই পার্থর ঘরের খাটেই ওই কঙ্কাল শোয়ানো ছিল। ইতিমধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওই কঙ্কালের নমুনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। পাশাপাশি ‘ফরেন্সিক সুপার ইম্পোজিশন’-এরও সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। সেই সূত্রে চণ্ডীগড়ে কঙ্কালের খুলিটি পাঠানো হতে পারে।
পার্থ পুলিশকে জানয়েছেন, দীর্ঘ উপবাসেই দেবযানীর মৃত্যু হয়েছে। সেই বক্তব্য ঠিক কি না জানতেই বিছানার চাদর-তোষক পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষায়। পুলিশ বলছে, দেহ থেকে মাংস ঝরাতে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা-ও জানা যাবে। এর থেকে ওই কঙ্কালের মৃত্যুরহস্যের কিনারা হবে বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে ১০টিরও বেশি অ্যালবাম উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা বলছেন, ছবিগুলির বেশির ভাগই নয়ের দশকের। অধিকাংশই পারিবারিক অনুষ্ঠানের। পুলিশ মনে করছে, পার্থর মা আরতীদেবীর মৃত্যুর আগে দে পরিবারের সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল।
তবে গৃহকর্তা অরবিন্দবাবুর সঙ্গে যে তাঁর মা ও ভাইয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না, এ দিন তার কিছু নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে এক জ্যোতিষের চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে অরবিন্দবাবু জানতে চেয়েছিলেন, মা-ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কবে ভাল হবে। জ্যোতিষী কী জবাব দিয়েছিলেন, তা-ও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পার্থ ও অরবিন্দবাবুর ডায়েরি খতিয়ে দেখে এ দিন পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর ১৪ নভেম্বর, জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে অরবিন্দবাবু ছেলেকে একটি নোটবুক উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু পার্থ তা নেননি। একই ভাবে ইংরেজি নববর্ষেও বাবার দেওয়া উপহার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ। সে সব লেখা আছে ডায়েরিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy