অর্পিতা বর্মণ
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল নিউ আলিপুর থানা।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম অর্পিতা বর্মণ (৩৯)। মঙ্গলবার রাতে নিউ আলিপুর থানার সাহাপুরের জে ব্লকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন ওই গৃহবধূর দাদা অরুণাভ শর্মা বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্ত দেবজ্যোতি বর্মণকে এখনও গ্রেফতার করেনি।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, কালীপুজোর সন্ধ্যায় দেবজ্যোতি ছাদে বাজি পোড়ানো শেষ করে ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন, স্ত্রীর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ছুতোর মিস্ত্রি ডেকে দরজার ছিটকিনি ভেঙে তিনি দেখেন, অর্পিতা সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন। দেবজ্যোতি স্ত্রীকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা অর্পিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। বুধবার অর্পিতার দাদা দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, বছর দশেক আগে তাঁর বোনের সঙ্গে দেবজ্যোতির বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁর বোনের উপর মানসিক নির্যাতন করতেন দেবজ্যোতি। অর্পিতার উপরে কয়েক বার শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ অরুণাভর।
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশের অনুমান, অর্পিতা আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর ঘর থেকে একটি চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই চিঠিতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।
শনিবার দেবজ্যোতি টেলিফোনে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসা করানোর জন্য অরুণাভদের সহযোগিতাও চেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতা তাঁর সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইতেন না বলেও দাবি করেন পেশায় আইনজীবী দেবজ্যোতি। তবে অর্পিতার বউদি মধুমিতাদেবী শনিবার দাবি করেন, দেবজ্যোতি মিথ্যা বলছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy