Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

কোর্টে খারিজ হল রাজ্যের বাজি-বিজ্ঞপ্তি

বাজি কারখানা নিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করল না জাতীয় পরিবেশ আদালত। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মলয় দে-র স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তি গত ৩ মার্চ জারি করা হয়েছিল।

অবাধে: এ ভাবেই চলছে বাজি তৈরির কাজ। ফাইল চিত্র

অবাধে: এ ভাবেই চলছে বাজি তৈরির কাজ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

বাজি কারখানা নিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করল না জাতীয় পরিবেশ আদালত। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মলয় দে-র স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তি গত ৩ মার্চ জারি করা হয়েছিল।

বিচারপতি এসপি ওয়াংদি ও বিশেষজ্ঞ সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গড়া পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ শুক্রবার এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছে। বাজি কারখানা নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুলাই। তার মধ্যে পর্ষদ ও স্বরাষ্ট্র দফতরকে ওই ব্যাখ্যা দিতে হবে। পরিবেশ আদালতই গত বছরের ২৮ জুলাই বাজি কারখানাকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যকে নীতি নির্দেশিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিল।

রাজ্যে হাজার হাজার বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলছে, এই অভিযোগে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।

এ দিন বিশ্বজিৎবাবুর আইনজীবী সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই বিজ্ঞপ্তি অসম্পূর্ণ। আমরা বলেছি, বেআইনি বাজি কারখানা ঠেকাতে ও বন্ধ করতে যে সব দিক দেখা উচিত, তার সব ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় আসেনি।’’ তাঁর বক্তব্য, বি়জ্ঞপ্তিতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নেই। শুধু বলা হয়েছে, কী ধরনের বাজি কারখানার অনুমোদন কোন দফতর দেবে এবং তারা কোন কোন দফতরকে জানাবে।

বিশ্বজিৎবাবুর মতে, এতে বিভিন্ন দফতর কী ভাবে সমন্বয় রক্ষা করবে, সে কথা শুধু বলা আছে। ঘিঞ্জি তল্লাটে বাজি কারখানা তৈরি করা যাবে না, একই পরিবারের সদস্য বেশ কয়েক জনের নামে লাইসেন্স দেওয়া হলে পরিবার পিছু সর্বোচ্চ কী পরিমাণ বাজির লাইসেন্স দেওয়া উচিত, সে সব কথা নেই।

বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে করা ওই মামলার মূল কথাই ছিল, রাজ্যে যত্রতত্র বেআইনি বাজির কারখানা গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে কিছু কারখানায় আবার শব্দবাজির আড়ালে মারণাস্ত্র পেটো বোমাও তৈরি হচ্ছে।

বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের একাধিক ঘটনায় বহু মানুষ ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন। তা ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষেই পড়শি বাংলাদেশ। এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অপরাধ দমনের জন্যও বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চিহ্নিত করে বন্ধ করার আবেদন জানান বিশ্বজিৎবাবু।

রাজ্য সরকারও ৩ মার্চ বেআইনি বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির কথা জানায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনও বাজি কারখানা আইন মেনে তৈরি হয়েছে ও চলছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশই বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE