বেশ কিছু গরিব পরিবারে শিশুদের লেখাপড়া শেখানোর ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ থাকে না। তেমন পরিবারের শিশুদের কোনও সাধারণ ঘরের পড়ুয়া লেখাপড়া শেখালে, সেই পড়ুয়াকে টিউশন ফি দেবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ এমনই এক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ সমীর চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকায় বহু গরিব বাচ্চা রয়েছে যাদের অভিভাবকেরা অর্থের অভাবে সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে পারছেন না। অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পাঠাচ্ছেন। ওই সব বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখাতেই ওই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সমীরবাবু।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, অনেক বাড়িতেই স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর স্তরে লেখাপড়া করে এমন তরুণ-তরুণী রয়েছে। তাঁদের হাত খরচা কিংবা নিজেদের টিউশন ফি প্রয়োজন। অনেকেই বিকেলের দিকটা ঘুরে-বেড়িয়ে সময় কাটান। এক্ষেত্রে ওই ছাত্রছাত্রীরা যদি নিখরচায় গরিব বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখান তবে পুরসভা তাঁদের সাম্মানিক দেবে। এতে একটি গরিব পরিবারের বাচ্চাও লেখাপড়া শিখবে। আর ওই ছাত্রছাত্রীরাও লাভবান হবেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দক্ষিণ দমদম ৩৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিজেদের এলাকায় কোচিং সেন্টার তৈরির জন্য জায়গা খুঁজতে। যেখানে বাচ্চাদের লেখাপড়ার ক্লাস চলতে পারে। এক সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভার অধীনে অনেকগুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেগুলির প্রায় সবগুলিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ ওই পুর এলাকায় এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের বাসই বেশি।
দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ জানান, এই অবস্থায় পুরসভা চাইছে যে ভাবেই হোক ওই সব শিশুরা লেখাপড়া শিখুক। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীদের সাম্মানিক হিসেবে কত টাকা করে দেওয়া যায়, তার একটা হিসেব করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চেয়ারম্যান পারিষদ সমীরবাবু জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy