Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ভিআইপি রোডে চলন্ত বাসে আগুন

পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল ৯টা নাগাদ এস ৩৭এ রুটের বারাসত থেকে গড়িয়াগামী বাসটি কৈখালি মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়েছিল। আচমকা ইঞ্জিন থেকে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখেন চালক।

লেলিহান: যাত্রীরা নেমে আসার পরেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল বাস। রবিবার সকালে, ভিআইপি রোডের কৈখালিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

লেলিহান: যাত্রীরা নেমে আসার পরেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল বাস। রবিবার সকালে, ভিআইপি রোডের কৈখালিতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৮
Share: Save:

রাস্তার মাঝে দাউদাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত বাস। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ভিআইপি রোডের কৈখালিতে। কোনও রকমে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল ৯টা নাগাদ এস ৩৭এ রুটের বারাসত থেকে গড়িয়াগামী বাসটি কৈখালি মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়েছিল। আচমকা ইঞ্জিন থেকে আগুন ও ধোঁয়া বেরোতে দেখেন চালক। বাসে তখন ছিলেন ছ’-সাত জন যাত্রী। বিপদ বুঝে বাস থামিয়ে তড়িঘড়ি যাত্রীদের নেমে যেতে বলেন চালক। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুন বেড়ে গেলে চালকও কোনওমতে রাস্তায় নেমে আসেন। পুলিশ সূত্রের খবর, যাত্রীরা নামার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায় গোটা বাসে। চালক তখন ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থরথর করে কাঁপছেন। আগুনের দাপট দেখে পুলিশ ভিআইপি রোডের কলকাতাগামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। উল্টোদিকে বিমানবন্দরগামী রাস্তা দিয়ে কলকাতার দিকের গাড়ি চালানো হয়। যার জেরে ভিআইপি রোডে কিছু ক্ষণ যানজটও হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে খোলা হয় রাস্তায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

ঘটনাস্থলের কাছে হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে পিয়ার মহম্মদ মণ্ডলের। তাঁর কথায়, ‘‘হইচই শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি বাস থেকে গল গল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আমরা কয়েক জন সঙ্গে সঙ্গে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু লাভ হয়নি।’’ অটোচালক মহম্মদ আসফাক বলেন, ‘‘বাস যেখানে পুড়ছে, তার কাছে অটোর লাইন ছিল। আগুনের হল্কা অটোগুলোর দিকে ধেয়ে আসছিল। তড়িঘড়ি অটোগুলি সরিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যাই।’’ কৈখালি চিড়িয়ামোড়ের বাসিন্দা গুলচা দত্তশর্মা বলেন,

‘‘এই ঘটনাস্থলের কাছেই বাস, অটো ধরার জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে থাকেন। ঘটনাটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যেতে পারত। সেটা ভেবেই শিউরে উঠছি।’’ তাঁর বক্তব্য, রাস্তায় নামানোর আগে বাসগুলির অবস্থা কেমন, তা দেখা উচিত। গড়িয়াগামী ওই বাসে প্রতিদিন বেশ অনেক সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেন। কাজের দিনে ভিড় বাসে এমন হলে কী ভাবে সামলাতেন চালক, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যাটারি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই কোনও ভাবে আগুন লেগেছে। বাসের রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যে বাসটিতে আগুন লেগেছে, সেটি নন-এসি ছিল। এ ধরনের বাসগুলির রক্ষণাবেক্ষণ বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে করা হয়। দরপত্র ডেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনও একটি সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বেছে নেওয়া হয়। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE