শিশুপুত্রকে(ইনসেটে) নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন মমতাদেবী। -নিজস্ব চিত্র
কোলের শিশুকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক তরুণী। নদীতে টহল দেওয়ার সময় নৌ সেনার নজরে পড়ে যাওয়ায়, দ্রুত সেই তরুণীকে শিশু-সহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মা প্রাণে রক্ষা পেলেও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে।
রবিবার সকাল সওয়া ১০ টা নাগাদ নৌসেনা তাঁদের হোভারক্রাফ্টে হাওড়ার দিক ঘেঁষে টহল দিচ্ছিল। হাওড়া ব্রিজের কাছেই তাঁদের নজরে পড়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য। এক তরুণী নদীর উপর ঝুঁকে থাকা একটি গাছের ডাল থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর কোলে সাত-আট মাস বয়সী একটি শিশু। নৌসেনার দল চিৎকার করে বারণ করে ঝাঁপ দিতে। কিন্তু তার আগেই জলে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন
মাঝরাতের ট্রমা কেয়ারে অমিল জরুরি পরিষেবা
নৌসেনা কর্মীরা নিজেরাও ঝাঁপ দেন ওই তরুণী এবং তাঁর শিশুকে বাঁচানোর জন্য। দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশের বাবুঘাটের জেটিতে নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখান থেকে পুলিশ কর্মীরা নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই তরুণীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম মমতা দেবী। বাড়ি আনন্দপুরে। তরুণীর কাছ থেকে পাওয়া একটি ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা দেবীর স্বামী রাহুল কুমার। তিনি পেশায় ট্যাক্সি চালক। অন্যদিনের মত রবিবার সকালেও তিনি সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে ট্যাক্সি নিয়ে বেরোন। রাহুলের প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, আটটা নাগাদ শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে যান মমতা। পারিবারিক অশান্তির কারণেই জলে ঝাঁপ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্ত করছে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy