—প্রতীকী চিত্র।
এলাকায় কিছু বহিরাগত যুবকের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছিল স্থানীয় একটি ক্লাব। সেই ‘আক্রোশে’ রাতের অন্ধকারে ওই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালিটিকুরির বকুলতলা রামকৃষ্ণপল্লীতে। প্রতিমা-সহ মণ্ডপটি পুড়ে গিয়েছে। সোমবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি ক্লাবের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতোই রামকৃষ্ণ পল্লির মাঠে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। রাত ৩টে পর্যন্ত ক্লাবের সদস্যরা পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কাজ করেছেন। সকলে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই কাকভোরে স্থানীয় এক টোটো চালক ক্লাবের সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে তুলে খবর দেন, তাঁদের পুজো মণ্ডপ দাউদাউ করে জ্বলছে।
খবর পেয়েই ক্লাবের সদস্যরা ছুটে যান। এর পরে তাঁরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বালতি, ড্রামে করে জল নিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন। আধ ঘন্টার মধ্যে আগুন নিভে গেলেও মণ্ডপটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যায় প্রতিমাটিও। এর পরেই দাশনগর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্লাব সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী এলাকায় যত্রতত্র মদ্যপান, জুয়া খেলা-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম করছিল। একাধিক বার সে নিয়ে প্রতিবাদও করা হয়েছে। মাসখানেক আগে সেই সব কিছুটা বন্ধ হয়ে গেলেও ফের এলাকায় গাড়ি পার্কিং করে তার মধ্যে বসে মদ্যপান ও মহিলাদের লক্ষ করে কটূক্তি করতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন মহিলারা। শেষে পিছু হটে দুষ্কৃতীরা।
ওই ক্লাবের সক্রিয় সদস্য প্রীতম রায় বলেন, ‘‘এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। দুষ্কৃতীদের মদ ও জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করাতেই আমাদের মণ্ডপ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ পুজো-উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, আগুন লাগানো হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। পোড়া মণ্ডপের কাছে একাধিক মদের খালি বোতল মিলেছে। পুজো উপলক্ষে এলাকায় সাজানো আলোকসজ্জার সংযোগগুলি বিচ্ছিন্ন করে বিক্ষিপ্ত ভাবে আগুন ধরানো হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy