—প্রতীকী চিত্র।
সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে আলাদা করে পাইপলাইন পাতা হয়েছে। বাইরে থেকে তা বোঝার উপায় নেই। কোথাও ঘরের মধ্যে, কোথাও ঘরের বাইরে চারদিকে ঢেকে ওই কাজ চলছে। জল ফিল্টার করার জন্যও বসেছে যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন সংস্থার নাম লেখা বোতলে তা ভরা হচ্ছে। তার পরে সেই জল বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
মহিষবাথানের পরে সোমবার মহিষগোট এবং ঢালিপাড়ার তিনটি বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ল বিধাননগর পুরসভার আধিকারিকদের। পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, জল সরবরাহ ব্যবসার কোনও নথি দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে পাইপলাইন কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। সাবমার্সিবল পাম্পও বন্ধ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
যদিও পুরসভার তরফে রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েনি।
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) প্রসেনজিৎ সর্দার জানান, কয়েকটি বাড়ি থেকে জল সরবরাহের ব্যবসা চলছিল। পুরসভাকে জানানো হয়েছে। ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেআইনি ভাবে জলের ব্যবসা চলছে। ট্রেড লাইসেন্স-সহ ব্যবসা করার অনুমতির কোনও নথি দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
এলাকার একাংশের কথায়, বাড়ি বাড়ি কিংবা বিভিন্ন অফিসে এই ধরনের বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে জল কেনা হয়। সেই জলের গুণমান, কতটা, তা যে নজরদারির বাইরে তা এই সব ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, কেউ বাড়ির ভিতরে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে এ ভাবে জল তুলে বিক্রি করলে তার নজরদারি রাখার পরিকাঠামো কি রয়েছে পুরসভার? এ ক্ষেত্রে শুধু পাম্প বন্ধ করে নয়, রীতিমতো আইনি পদক্ষেপ দরকার।
সম্প্রতি মহিষবাথানেও একটি বাড়িতে গিয়ে বেআইনি ভাবে জল তোলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার প্রমাণও পান পুরকর্তারা। সেই বাড়িতে পাইপলাইন কেটে সাবমার্সিবল পাম্প বন্ধ করা হয়।
পুরসভার একাংশের কথায়, সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে নিউ টাউনে যে জলপ্রকল্প হয়েছে, তার থেকে জল বাড়ি বাড়ি সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে। সেই কাজ শেষ হলে এই ধরনের সমস্যা মিটবে। তবে বেআইনি ভাবে জল সরবরাহের বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy