Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

খাটাল চলছে পরম মমতায়, মানেন না মেয়র

শহরে খাটাল নিষিদ্ধ। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও দাবি, খাটাল বলতে যা বোঝায়, তা শহরে নেই। যদিও কাশীপুর, হেস্টিংস, লেক গার্ডেন্স এলাকায় খাটাল রয়েই গিয়েছে। এমনকী হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে আদিগঙ্গার পাড়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে খাটাল। তবে চলাচলের পথে হঠাৎ দেখে বোঝা যাবে না ওই রাস্তার আশপাশে কোথাও খাটাল আছে।

বহাল তবিয়তে। — নিজস্ব চিত্র

বহাল তবিয়তে। — নিজস্ব চিত্র

দেবাশিস দাস
শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০০:৩০
Share: Save:

শহরে খাটাল নিষিদ্ধ। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও দাবি, খাটাল বলতে যা বোঝায়, তা শহরে নেই। যদিও কাশীপুর, হেস্টিংস, লেক গার্ডেন্স এলাকায় খাটাল রয়েই গিয়েছে। এমনকী হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে আদিগঙ্গার পাড়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে খাটাল। তবে চলাচলের পথে হঠাৎ দেখে বোঝা যাবে না ওই রাস্তার আশপাশে কোথাও খাটাল আছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছোট সঙ্কীর্ণ গলি গিয়ে মিশেছে আদিগঙ্গার পাড়ে। সেই গলি দিয়ে গেলেই মিলবে খাটালের সন্ধান।
সোমবার সকালে ভবানীপুরের রামরিক ঘাটের কাছে খাটাল পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মামা-ভাগ্নের। এলাকাবাসীর একাংশ জানান, এক সময়ে আদিগঙ্গার পাড়ে শীতলা ঘাট থেকে ডোমপাড়া পর্যন্ত টানা খাটাল ছিল। পরে তা উঠে গিয়ে রামরিক থেকে শীতলা ঘাটের মধ্যে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর মিত্র বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে এই খাটালগুলো আদি গঙ্গার পাড়ে রয়েছে। আগে অনেক বড় ছিল এখন ছোট ছোট ভাগে রয়েছে।’’
এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাধারণত আদি গঙ্গার জল ব্যবহার করেই এই খাটালগুলি চলে। অভিযোগ, খাটালের যাবতীয় বর্জ্য মেশে আদিগঙ্গার জলে। তবে খাটাল যে শহরে নিষিদ্ধ এই কথা যাঁদের খাটাল তাঁরাও জানেন। তাই অপরিচিত কেউ ঢুকলে তাঁদের কড়া নজরদারিও থাকে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক খাটালকর্মী বলেন, ‘‘আমরা কয়েক পুরুষ ধরে এখানে খাটাল চালাচ্ছি। কেউ কোনও দিন কিছু বলেননি।’’

পুরসভা শহরে খাটাল নিষিদ্ধ করেছে বহু দিন। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খাটাল চলে কি করে? লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘খাটাল নিয়ে পুরসভা সাহায্য চাইলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। তার আগে আমাদের কিছু করার থাকে না।’’ আদিগঙ্গা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেচ দফতরের। তার পাড়ে এমন নিষিদ্ধ কাজ দিনের পর দিন কী ভাবে চলে? সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, ‘‘আদিগঙ্গার পাড়ের সব দায়িত্ব আমরা ২০১৩ সালে কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে দিয়েছি।

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কেউ একটা দুটো গরু-মোষ পুষলে তাঁকে খাটাল বলা যায় না।’’ কিন্তু এখানে তো একটা দুটো নয় অনেক গরু, মোষ রয়েছে? উত্তরে শোভনবাবু বলেন ‘‘হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের আদিগঙ্গার পাড়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE