হাসপাতালে দিব্যম। নিজস্ব চিত্র
ঘুড়ির সুতোর জালে এ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যু ফাঁদ!
মাঞ্জা দেওয়া ছুরির মতো ধারালো সেই সুতোর জেরে আগেও একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে মা উ়ড়ালপুলে। সোমবার ফের ঘটল দুর্ঘটনা। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেও স্কুটার চালকের নাকে পাঁচটি সেলাই পড়েছে।
বেহালা সেনহাটি কলোনির বাসিন্দা দিব্যম বাজাজ বিধাননগরের একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রতিদিনের মতো এ দিনও কলেজ ছুটির পরে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাথায় ছিল হেলমেট, চোখে সানগ্লাস। সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি পরমা উড়ালপুলের মা়ঝামাঝি আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা।
দিব্যম বলেন, ‘‘৪০ কিমি বেগে স্কুটি চালাচ্ছিলাম। আচমকাই মনে হল নাকের উপর দিয়ে ধারালো কিছু চলে গেল। জ্বালা করলেও আচমকা উড়ালপুলের উপরে স্কুটার দাঁড় করাতে পারছিলাম না।’’ তিনি জানান, আরও কিছুটা এগিয়ে বুঝতে পারেন, মাঞ্জা দেওয়া সুতো নাকে চেপে বসেছে। কোনওমতে উড়ালপুলের এক ধারে স্কুটার দাঁড় করিয়ে হেলমেট খুলতেই দেখেন, নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে।
ওই যুবক বলেন, ‘‘স্কুটারে ফার্স্ট এড বক্স ছিল। সেটা বার করে একটা ব্যান্ডেজ এবং রুমাল দিয়ে কোনও মতে নাক বেঁধে, ভাই অভিষেককে ফোন করে সব জানাই।’’ এর পরেই পিজি-তে যান দিব্যম। তাঁর কথায়, ‘‘আমার অবস্থা দেখে পুলিশেরাও হাসপাতালে পৌঁছতে সহযোগিতা করেছেন।’’
এর পরে কোনওমতে পিজি-র জরুরি বিভাগে পৌঁছন দিব্যম। তাঁর কথায়, ‘‘নাক দিয়ে রক্ত ঝরলেও ফাঁকা টিকিট কাউন্টারে ৫ মিনিট, চিকিৎসক দেখানোর লাইনেও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল।’’ এর পরে অবশ্য চিকিৎসকেরা নাকের ক্ষত দেখে জানান, আঘাত গুরুতর। তবে কোনও অভিযোগ জানাননি দিব্যম। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ আর কী করব? গলায় লাগলে তো মরেই যেতাম!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy