পুলিশের কাছে মোবাইল ছিনতাই ও হেনস্থার নালিশ জানিয়ে কোনও ফল হয়নি। উল্টে নিজেই তিন দিন নাজেহাল হয়েছেন। এমনই অভিযোগ সেলিমপুরের বাসিন্দা রাজীব গুপ্তের। মঙ্গলবার সেই অভিযোগ ই-মেলে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকেও জানিয়েছেন রাজীব।
রাজীবের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে তিনি অ্যাপ-নির্ভর ট্যাক্সির খোঁজ করছিলেন। ট্যাক্সি আসার আগেই ব্যাটারির সমস্যার জন্য তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে একটি সাদা গাড়ি তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। রাজীব পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই গাড়িটি কোনও অ্যাপ-নির্ভর ট্যাক্সি কি না, তা তিনি খেয়াল করেননি। কিন্তু, তিনি যাবেন কি না, তা নিয়ে গাড়ির চালকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, ওই চালক তাঁর ফোনটি ছিনিয়ে নেন। এর পরে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। হাতে ও কোমরে চোট পান রাজীব।
এর পরেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। থানার অফিসারেরা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারে গিয়ে কন্ট্রোল রুমের সিসিটিভি দেখে ঘটনাটির সত্যতাও যাচাই করেন। ওই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়। রাজীব ওই গাড়ির নম্বরও দেন।
রাজীবের দাবি, অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার জন্য তাঁকে রবিবার থানায় আসতে বলা হয়। রাজীববাবু ওই দিন মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে, রিপোর্ট নিয়ে থানায় যান। তখন তাঁকে তদন্তকারী অফিসার বলেন, অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। অভিযোগ, রবিবার ছিনতাই হওয়া ফোনটি চালু ছিল তা জানাতে গেলে ওই অফিসার দুর্ব্যবহার করেন। মোবাইলের বিল নিয়ে রাজীববাবুকে মঙ্গলবার ফের থানায় যেতে বললেও ওই অফিসার থানায় ছিলেন না।
অভিযুক্তের গাড়ির নম্বর ও ছবি রয়েছে পুলিশের কাছে। তা-ও তিন দিন পরে কেন ধরা গেল না তাকে? কেনই বা একটি অভিযোগের নথি জমা দেওয়ার জন্য বারবার থানায় আসতে হচ্ছে রাজীববাবুকে?
পুলিশের পাল্টা দাবি, অভিযোগকারীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা নয়। তদন্তের স্বার্থেই কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে রাজীববাবুর কাছ থেকে। যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযোগটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy