দুর্ঘটনাস্থলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা মাঝেরহাট সেতুর উদ্ধার কাজ দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোলপাধ্যায়। তিনি বুধবার সন্ধ্যা ছ’টায় কলকাতা বিমান বন্দরে এসে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে বাইপাস ঘুরে মা উড়ালপুল ধরে তিনি ঠিক ছ’টা পয়ত্রিশ মিনিটে মাঝেরহাট ব্রিজে এসে পৌঁছন।
গাড়ি থেকে নেমেই তিনি সটান ভাঙা ব্রিজ ধরে হেঁটে চলে আসেন ঠিক যেখান থেকে সেতুটি ভেঙেছে সেখানে।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পূর্বতন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারের কাছে বিস্তারিত শোনেন ঠিক কী ভাবে মঙ্গলবার কখন সেতুটি ভেঙে পড়ে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছেও গোটা ঘটনা তিনি বিস্তারিত শোনেন। সেখান থেকেই পুলিশ কর্তাদের কিছু নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি উদ্ধার কাজ কতটা এগিয়েছে সেটাও খোঁজ নেন।
দেখুন ভিডিয়ো
ঘুরে দেখার পর মমতা প্রশংসা করেন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের। তাঁর কথায়, ‘‘কালকে ঘটনা ঘটার পর থেকে ফুল টিম, কলকাতা পুলিশ, ডিএমজি, এনডিআরএফ— সব দফতর খুব ভাল কাজ করেছে।’’ স্থানীয় মানুষ উদ্ধারকাজে যে ভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন। ঠিক কী কারণে সেতু ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। অনেক সেতুর কাগজপত্র ঠিক মতো খুঁজে পাওয়া য়াচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন। মেট্রো রেলের কাজের জন্যও এই মাঝেরহাট সেতুর ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলেও মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে মেট্রোর কাজ হচ্ছিল। পাইলিং-এর সময়ে খুব কম্পন হয়েছে। স্থানীয়েরাও বলতেন, মনে হয় যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। এটা হয়। কলকাতা মেট্রোর কাজের সময় উত্তর কলকাতা বা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে এ রকম হত। এটা প্রাকটিক্যাল। আমরা কোনও সম্ভাব্য কারণকেই ছোট করে দেখতে চাই না। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy