ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু।
পূর্ত দফতর থেকে ‘নো অবজেকশন’ পাওয়ার পরেই কাজ শুরু হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের চিঠির জবাবে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিল মেট্রো রেল। প্রমাণ হিসাবে পূর্ত দফতরের সেই নথিও তারা জমা দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন মেট্রো প্রকল্পের পাইলিং করার জন্য মাঝেরহাট সেতুতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে, বিপদের সম্ভাবনা ছিল যখন, তখন পূর্ত দফতর কী ভাবে ব্রিজের পাশে স্তম্ভ করার অনুমতি দিল? মেট্রোর চিঠি পাওয়ার পরেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মেট্রো রেলের পাশাপাশি পূর্ত দফতরও চিঠির জবাব দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে পূর্ত দফতরের কাছে নথিপত্র চেয়েছিল। দু’তরফ থেকেই নথিপত্র মিলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (অপরাধ দমন) প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “চিঠির জবাব মিলেছে। পূ্র্ত দফতর এবং মেট্রো রেলে নথিপত্রও দিয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
কিছু দিন আগেই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণ জানতে পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ওই ব্রিজের দায়িত্বে দফতরের কোন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, কবে শেষ মেরামতি করা হয়েছে, এ সব বিষয়ে দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, সব কিছুরই নাকি জবাব এসে গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের মুখে কুলুপ। পুলিশের দাবি, মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মাঝেরহাট ব্রিজের পাশে কবে থেকে মেট্রোর কাজ শুরু হয়েছে এবং কবে থেকে, কোন পদ্ধতিতে পাইলিং করা হয়েছে? এ সবেরও উত্তর মিলেছে।
আরও পড়ুন: এত দিন জানতই না রেল! মাঝেরহাটে বিকল্প রাস্তা তৈরি নিয়ে অনিশ্চয়তা
মাঝেরহাটের দুর্ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাঝেরহাট দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের। কার গাফিলতির জন্যে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে এখনও চাপানউতোর চলছে রেল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy