ধস নেমে বসে গিয়েছে ব্যস্ত রাজপথের একাংশ। শনিবার, ঢাকুরিয়ায়। —নিজস্ব চিত্র
ধস নামল ঢাকুরিয়া ব্রিজের সামনের রাস্তায়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই রাস্তার উপরিতল থেকে প্রায় তিন ফুট নীচে তলিয়ে যায় পিচ, পাথর, বালি-সহ মাটি। যা দেখে হতবাক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশেরাও। এর জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। পুলিশ অবশ্য ওই ধসের পাশ দিয়েই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত এই ঘটনার জেরে ওই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।
বছরখানেক আগেও ধস নেমেছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজে। তাই সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয় পুলিশকে। সে বার পুরসভা বলেছিল, ইঁদুরের দৌরাত্ম্যেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ব্রিজের পাশে পুরসভার একটি ভ্যাটের ইঁদুরের দল ব্রিজের নীচের মাটি সাফ করায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছিল সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ থেকে নেমে কয়েক মিটার দূরে রাস্তার মাঝে একটি অংশ বসে গিয়েছে। দৈর্ঘ্যে পাঁচ ফুট, প্রস্থে চার ফুট অংশ জুড়ে পিচ, মাটি ঢুকে গিয়েছে তিন ফুট গভীরে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক বাসিন্দা রেণু দাস বলেন, “কোনও ভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।”
ধস নামার খবর পেয়েই এ দিন ঘটনাস্থলে যান পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন ওই বরোর এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-সহ পুরসভার একাধিক অফিসার। সুশান্তবাবু বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারেরা বিষয়টি দেখছেন। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।” তবে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, এলাকায় বালি-মাটির পরিমাণ বেশি। পাশেই পাম্পিং স্টেশন। ফলে কম্পনের জেরেও ধস নামতে পারে। ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার কাউন্সিলর মধুছন্দা দেবও। তাঁর অনুমান, এ ক্ষেত্রেও হয়তো ইঁদুর মাটি কাটার ফলেই ভিত আলগা হয়ে রাস্তা বসে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ইঁদুরের জন্য রাস্তার যে ক্ষতি হচ্ছে, তা নিয়ে পুরসভাকে বারবার বলেও লাভ হয়নি।”
গত মাসে ই এম বাইপাসে রুবি মোড়ের কাছেও রাস্তায় ধস নামে। সে ক্ষেত্রে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, মেট্রো রেলের কাজের জন্য বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী বেড়া দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে ওই এলাকায় জল জমে যায়। মন্ত্রীর অভিযোগ করেন, ওই বেড়ার মধ্যে জমে থাকা জল রাস্তার নীচে চলে যাওয়াতেই ওই রাস্তায় ফাটল ধরছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy