মা উড়ালপুল।—ফাইল চিত্র।
চিনা মাঞ্জার বিপদ থেকে বাঁচাতে এ বার মা উড়ালপুলের রেলিংয়ের উপরে উঁচু করে জাল লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের তরফে।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত মাসের শেষ দিকে মা উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা কেএমডিএ-কে এই প্রস্তাব দিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। উড়ালপুলের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে (চার নম্বর ব্রিজ থেকে সায়েন্স সিটির আগে বোট ক্লাব পর্যন্ত) তিন মিটার উঁচু করে ওই জাল লাগানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ি উড়ালপুলের উপরে উড়ে এলেও তা ওই জালে আটকে যেতে পারে। একই সঙ্গে উড়ালপুলের দু’ধারের এলাকায় প্রচার চালিয়েছে তপসিয়া থানা। চিনা মাঞ্জার বিপদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে একাধিক পোস্টার। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একই সঙ্গে চলছে লিফলেট বিলি এবং মাইকে প্রচারও।
পুলিশের দাবি, প্রস্তাব মতো মা উড়ালপুলের উপরে উঁচু করে ওই জাল লাগানো হলে কাটা ঘুড়ির মাঞ্জা দেওয়া সুতো ছোট গাড়ি কিংবা মোটরবাইক আরোহীদের গায়ে এসে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। এ ছাড়াও ওই জালে সুতো আটকালে যাতে তা সঙ্গে সঙ্গে ছিঁড়ে যায়, সেই ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছে পুলিশ।
গত কয়েক বছরে মা উড়ালপুলের উপরে চিনা মাঞ্জায় আরোহীদের আহত হওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। উড়ালপুল সংলগ্ন বাড়ি ও ফাঁকা জায়গা থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময়ে তার মাঞ্জা সুতোয় ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। এক মাস আগে মা উড়ালপুল দিয়ে যাওয়ার সময়ে মাঞ্জা সুতোয় জখম হন এক চিকিৎসক। পুজোর আগে তপসিয়া মোড়ের কাছে একই রকম দুর্ঘটনায় হেলমেটের তলা দিয়ে গলা কেটে যায় এক বাইকআরোহীর। বারবার এমন ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, উড়ালপুলের উপরে অতিরিক্ত কোনও ওজন চাপানো যাবে না— এ কথা মাথায় রেখেই এর পরে জাল বসানোর প্রস্তাব পাঠানো হয় ট্র্যাফিক
পুলিশের তরফে।
লালবাজারের কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব ছাড়াও উড়ালপুলের দু’পাশের এলাকার দায়িত্বে থাকা বেনিয়াপুকুর, তিলজলা, তপসিয়া, কড়েয়া, ট্যাংরা, প্রগতি ময়দান-সহ সব থানার অফিসারদের নিষিদ্ধ প্লাস্টিক মাঞ্জা বা চিনা মাঞ্জা ব্যবহার হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy