নিজস্ব চিত্র
পথ দুর্ঘটনায় প্রতি তিন মিনিটে এক জনের মৃত্যু হচ্ছে সারা দেশে। একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের রাস্তাগুলি হয়ে উঠছে আরও বিপজ্জনক। পরিসংখ্যানের হিসেবে ভারত এখন সারা পৃথিবীর পথ দুর্ঘটনার রাজধানী। আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যার থেকে অনেক গুণ বেশি পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা। কিছুদিন আগেই এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০২০ সালের মধ্যে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে পথ দুর্ঘটনা বাড়বে ১৪৭ শতাংশ।
সারা দেশে বাড়তে থাকা পথ দুর্ঘটনা আর মৃত্যুর মধ্যেই কিন্তু অন্য ছবি কলকাতায়। গত পাঁচ বছরে কলকাতা শহরে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলো মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু কীভাবে এল এই সাফল্য?
রাস্তাকে নিরাপদ করার পাশাপাশি, দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে দেরি হওয়ার কারণেও অনেক মৃত্যু হয়। তাই আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুলিশ। সেই উদ্দেশেই শহরের প্রথম সারির সব হাসপাতালকেই আমন্ত্রণ জানায় কলকাতা পুলিশ, যাতে পথ দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের জরুরি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয় গড়ে ওঠে।এর ফলে, ২০১২ সালে কলকাতা পুলিশ, মেডিকা সুপার স্পেশালটি হসপিটাল এবং ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশন (ইআইএইচএফ) একযোগে কার্মা (কলকাতা অ্যাক্সিডেন্ট রেসপন্স এবং মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) তৈরি করে।
পিপিপি মডেলে চলা এই প্রজেক্টে আক্রান্ত মানুষকে সময়মত নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মিতেশ জৈন জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মোট ২২,৮৯৯ মানুষকে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সক্ষম হয়েছে কার্মা। এর মধ্যে ১৮,৯২৭ আক্রান্ত মানুষকে নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’
আহতদের বাঁচাতে এই উদ্যোগের কারণেই কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্মা প্রোজেক্টের এই সাফল্য দেখে এগিয়ে এসেছে টাটা মেটালিকস। জামশেদপুর ও রাঁচি শহরেও ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে মেডিকা হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: লালদিঘি ‘বদলেও’ দেখা নেই ‘দেখো রে’-র
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy