এখানেই ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। রবিবার, লক্ষ্মীঘাটে। নিজস্ব চিত্র
দিন দশেক আগে বাইপাসে দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর স্বামীর গাড়ি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি সারানোর জন্য মোটা টাকা ধার করতে হয় ওই যুবককে। যার জেরে পরিবারে কিছুটা আর্থিক অনটন চলছিল। তা ঘিরেই শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তদন্তে নেমে এমন সব তথ্য পেয়ে পুলিশের অনুমান, সেই অশান্তির কারণেই রবিবার চার মাসের ছেলেকে নিয়ে গঙ্গায় ‘ঝাঁপ’ দেন মহিলা। মহিলাকে বাঁচানো গেলেও, ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
আদতে বিহারের গয়ার বাসিন্দা ওই পরিবার কয়েক মাস আগে এ শহরে এসে সোনারপুরের উচ্ছেপোতায় একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, গাড়ি দুর্ঘটনার পরে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন ওই যুবক। যার জন্য স্ত্রী ও ছেলের তেমন দেখভাল করতে পারছিলেন না। তা নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় ওই দম্পতির মধ্যে।
তবে সেই পারিবারিক অশান্তির যে এমন পরিণতি হতে পারে, তা ভাবতেই পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘শনিবার রাতে ওই দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল ঠিকই। তবে তা যে এতটা বড় হবে, বুঝতে পারিনি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে উচ্ছেপোতার বাড়ি থেকে বেরোন ওই যুবক। এর পরেই ৯টা নাগাদ শিশুপুত্রকে নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে বেরোন তাঁর স্ত্রী। সকালে হাওড়া যাওয়ার সময়ে ওই মহিলা স্বামীর মোবাইলে ফোন করে জানান, তিনি বিহার চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে নিজের স্ত্রীর অস্বাভাবিক আচরণ ও ফোন পেয়ে সন্দেহ হয় ওই গাড়িচালকের। এর ঘণ্টা খানেক পরেই বাবুঘাটের রিভার ট্র্যাফিক থানার পুলিশের ফোন পান ওই যুবক। পুলিশের ফোন পেয়ে বাবুঘাট পৌঁছে তিনি বুঝতে পারেন, কত বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে।
সোমবার তাঁদের একরত্তি শিশুর দেহ পেতে এসএসকেএমের মর্গের সামনে সকাল থেকে বসেছিলেন ওই দম্পতি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রবিবারে এই ঘটনায় কোনও পক্ষের তরফে অভিযোগ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy