প্রতীকী ছবি।
কয়েক মাস ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেম। একসঙ্গে তারা কয়েক বার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছে। শেষে দুই পরিবার ঠিক করে, তাদের বিয়েই দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো শুক্রবার রাতে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্থানীয় বিডিও এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে আটকে গেল সেই বিয়ে। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে খড়দহের বন্দিপুর পঞ্চায়েত এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বন্দিপুরের বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে সতেরো বছরের এক কিশোরের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বন্দিপুরের দোপেঁড়ের বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীর। দুই বাড়ির তরফেই বিষয়টিতে আপত্তি থাকায় কয়েক বার পালিয়ে যায় ওই যুগল। দিন দুই আগেও ফের তারা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। শুক্রবার গভীর রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে দু’জনকে ধরে ফেলেন ছেলেটির পরিজনেরা। খবর পেয়ে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন। এর পরে দুই তরফেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হতেই স্থানীয় সূত্রে খবর পৌঁছে যায় ব্যারাকপুর ব্লক ২-এর বিডিও অনামিকা বেরার কাছে।
অনামিকাদেবী জেলা কল্যাণ কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকালে সেখানে গিয়ে প্রথমে বিয়ে রুখে দেন। তার পরে বর-কনে উভয় পক্ষের বাড়ির লোকজনকেই স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে অনামিকাদেবী, খড়দহ থানার আইসি মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েত প্রধান-সহ চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। অনামিকাদেবী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে বিয়ে রুখে দেওয়ার পরে দু’পক্ষকেই বোঝানো হয়েছে। মেয়েটির পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’’ ওই কিশোর যদি পড়তে চায়, তবে তাকেও সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানান বিডিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy